বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপির নাশকতা কি না প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির নাশকতা কি না প্রশ্ন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গুলিস্তান, সীতাকুণ্ড ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের যে ঘটনা ঘটেছে তা বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ঘটিয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে সরকার। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মহানগর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের কাজে বাইরে ঠিক সে সময় কয়েকটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গেছে। এটা নাশকতা কি না তা সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে কারও মাথাব্যথার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল হুট করে একটা বিবৃতি দিয়েছেন। তার বিবৃতির ভাষা হচ্ছে যে, এ ধরনের একের পর এক ঘটনা রহস্যজনক। আমরা তার সঙ্গে একমত। দেশে এ ধরনের ঘটনা রহস্যজনক। এ রহস্যের ভিতরের বিষয়টি কী, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থতা যাদের, তারা এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার পথ খুঁজছে কি না, নাশকতার পথে হাঁটছে কি না তা-ও আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা খতিয়ে দেখছি। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হলে আগুনসন্ত্রাসে লিপ্ত হয়। এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বিরোধী দল বলছে পাল্টাপাল্টি, আমরা কিন্তু পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করছি না, আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, এটা আমাদের ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিবস। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৭ মার্চে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ফুল দিয়েছেন। তিনি ছিলেন না, কিন্তু দিনটাকে কতটা গুরুত্ব দেন এটা তারই প্রমাণ। এর সঙ্গে রাজনৈতিক সক্রিয়তার কোনো বিষয় আছে বলে আমার জানা নেই। যৌথ সভায় কাজী জাফরউল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আবদুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, আবদুস সোবহান গোলাপ, বিপ্লব বড়ুয়া, সেলিম মাহমুদ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, শামসুন নাহার চাঁপা, সায়েম খান, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, সাঈদ খোকন, আনোয়ার হোসেন, সানজিদা খানম, নির্মল চ্যাটার্জি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান, যুব মহিলা লীগ সভাপতি আলোয়া সারোয়ার ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর