মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। তাই স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির জন্য এবং দেশকে একটা সেফ গার্ড দেওয়ার জন্য, ইতিহাস বিকৃতকারীদের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে মিথ্যাচারকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি দেওয়ার জন্য সংসদে একটা আইন পাস করা উচিত।
জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমি শুনেছি ল’ কমিশন নাকি এ ধরনের একটি আইনের প্রস্তাবনা করেছে, এ আইনটিকে যাতে জাতিকে সেফ গার্ডে রাখার জন্য এ সংসদে পাস করা যায় সে আহ্বান জানাব। বিএনপির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত করছে। শুধু তারাই চক্রান্ত করছে না, যারা এ সংসদকে বিশ্বাস করে না, দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের মুখপাত্র হিসেবে অনেকেই এ ষড়যন্ত্র করছে। আমি মনে করি সংসদ যেহেতু সব কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু, তাই এখানে মিথ্যাচার, ইতিহাসের বিকৃতি, তারা যখনই সময় পায় তখনই সে প্রচেষ্টা চালায়। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জেলহত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, তিনিই দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির জন্য এ আইনটি করতে পারেন। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকরা শুধু একটা মানুষকে হত্যা করেনি, তারা একটি স্বাধীন সংসদ নয়, একটা জাতিকে হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড, চার নেতার হত্যাকান্ড, সংবিধানে কাটাছেঁড়া এসব কিছুই ছিল এ দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলা। সম্প্রতি বিএনপির এক নেতা বলেছেন, এর চেয়ে পাকিস্তান ভালো ছিল। তারা বলে আমাদের এই মহান মুক্তিযুদ্ধের নাকি কোনো প্রস্তুতি ছিল না।তাহলে সিক্রেট ডকুমেন্ট, প্রধানমন্ত্রী যা সংকলিত করেছেন সেসব যাবে কোথায়? তারা মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিতর্কিত করে আবারও পাকিস্তান ঘরানার ধর্মীয় রাজনীতি চালু করে এ দেশকে অকার্যকর করতে চায়।