বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ট্রলারে ১০ লাশ এখনো রহস্যেই

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ট্রলারে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় ট্রলারমালিক শামসুল আলম ওরফে শামসু মাঝির স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্জয় বিশ্বাস এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামিসহ জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের পাঁচটি দল মাঠে কাজ করছে। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া দুজন হলেন এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মাতারবাড়ী এলাকার ট্রলারমালিক বাইট্টা কামাল ও ৪ নম্বর আসামি ট্রলারমাঝি করিম সিকদার। তাদের মঙ্গলবার গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। এজাহারে উল্লেখ থাকা অন্য দুই আসামি হলেন মাতারবাড়ীর আনোয়ার হোসেন ও বাবুল মাঝি। রবিবার গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলার ঘটনার শিকার সাগরে ভাসমান থাকা ট্রলারটিকে নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসে। আর ওই ট্রলারের হিমঘরে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ট্রলারটির মালিক মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া এলাকার ছনখোলাপাড়ার মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে শামসুল আলম ওরফে শামসু মাঝি। এরই মধ্যে তার লাশ গ্রহণ করেছেন স্ত্রী রোকেয়া বেগম। রোকেয়া বেগমও স্বীকার করেছেন ট্রলারটির মালিক তার স্বামী। ইতোমধ্যে উদ্ধার হওয়া ছয় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও মর্গে রয়ে গেছে চারজনের লাশ। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এ চারজনের পরিচয়। এর পরই চারজনের লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর