রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোট চ্যালেঞ্জে এরদোগান

প্রতিদিন ডেস্ক

ভোট চ্যালেঞ্জে এরদোগান

দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে দাঁড় করিয়ে আজ তুরস্কে হতে চলেছে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছয়টি বিরোধী দল নিয়ে গঠিত জোট ‘টেবিল এবং সিক্সের’ প্রার্থী কেমাল কুলুচদারুলু। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরও দুজন প্রার্থী লড়ছেন। তারা হলেন- মধ্য বামপন্থি ও জাতীয়তাবাদী মুহাররাম ইনজে এবং ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী সিনান ওয়ান। সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা, রয়টার্স

নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থী যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, তাহলে ২৮ মে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, এবারের ভোটের ফলাফল নির্ধারিত হবে তরুণ এবং নতুন ভোটারদের ভোটে। একই সঙ্গে এবারের নির্বাচনে নারী ভোটাররা কাকে ভোট দেবেন- সেটাও জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। প্রসঙ্গত, তুরস্কে মোট ভোটারের ৫০.৬ ভাগই নারী। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রধান বিরোধী জোটের সমর্থকদের আশঙ্কা রয়েছে কুলুচদারুলুর ভোট ভাগ হয়ে গেলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতে গড়াতে পারে। আর আজকের নির্বাচনে কেউ যদি অর্ধেকের বেশি ভোট পেয়ে যান তাহলে তিনিই সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের ভোটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি ২০০৩ সাল থেকে তুরস্কের ক্ষমতায় আছেন। প্রথমে তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আর ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে প্রেসিডেন্ট পদে আছেন। তিনি ২০১৮ সালে একটি নতুন শাসনব্যবস্থা চালু করেন। এ ব্যবস্থা দেশটির প্রেসিডেন্টের হাতে বেশির ভাগ ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে। আগে প্রেসিডেন্টের পদটি ছিল মূলত আনুষ্ঠানিক পদ। নতুন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের নিয়ম করা হয়। তুরস্কের বিরোধীরা দেশটির অর্থনৈতিক মন্দা, নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা সংকুচিত করার জন্য ৬৮ বছর বয়সী এরদোগানকে দায়ী করছেন। তারা এরদোগানের বিরুদ্ধে ‘এক ব্যক্তির শাসন’ ব্যবস্থা চালুর অভিযোগ করছেন। আবার এরদোগান যখন ক্ষমতায় আসেন সে সময় তিনি নারীদের প্রচুর সমর্থন পেয়েছিলেন। জনমত জরিপ অনুযায়ী, এখন সেই সমর্থনে ভাটা পড়েছে। ইস্তাম্বুলের অনেক নারীই বলছেন, ‘এরদোগান যদি আবার জয়লাভ করেন, আমাদের সবার জীবন দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে উঠবে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে তুরস্কে তরুণদের জীবন ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারি হিসাবে, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির এই হার দাঁড়িয়েছে ৪৪ শতাংশ। এই নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয় প্রেসিডেন্ট এরদোগানের গৃহীত নীতিমালাকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর