রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভিসানীতির কারণে টাকা পাচার কমবে

বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নেন বড় লোকেরা। তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) নতুন ভিসানীতির কারণে টাকা পাচার কমবে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরকার মোটেও বিব্রত নয়। গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, ভিসা (যুক্তরাষ্ট্রের) বড় লোকেরা নেন, সরকারি কর্মচারী, কিছু বড় ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ...। তাদেরই ভিসার দরকার দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি, স্থানীয় এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১), ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন, বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

এনআইডি থাকলে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা উচিত : এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অনুষ্ঠানে বলেন, করের আওতা বাড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকলেই সবার রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা উচিত। এনআইডি কার্ডধারী সবাইকে আয়করের আওতায় আনতে পারলে কর জিডিপির হার সাত থেকে আট শতাংশ বাড়বে। ইআরএফ অডিটোরিয়ামে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ প্রস্তাব দেন তিনি। ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির এবং সাবেক অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ। প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোটভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, মুহিত ভাই অর্থমন্ত্রী থাকার সময় আমি করের আওতা বাড়ানোর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র যাদের আছে, তাদের সবাইকে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটি হয়নি আমলাতন্ত্রের কারণে। তিনি বলেন, তখন আমি ভাইকে বলেছিলাম, আমেরিকায় যাদের সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড আছে তাদের রিটার্ন দিতে হয়। যাদের সাড়ে ৩ হাজার ডলারের নিচে আয় তাদের ট্যাক্স দিতে হয় না। আর যাদের এর ওপরে আয় তারা ট্যাক্স দেয়।

সর্বশেষ খবর