কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে বিএনপির প্রতিনিধি সভায় হামলা, গুলি, ভাঙচুর, বাড়িঘর লুটের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী। তবে পুলিশ জানিয়েছে, সামান্য বিশৃঙ্খলা ঘটলেও গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। মনিরুল হক চৌধুরী দাবি করেছেন, বেলঘর উত্তরে তাদের একটি প্রতিনিধি সভা ছিল। সেখানে লালমাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ও সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ারের লোকজন ভাঙচুর করে ও গুলি চালায়। এ সময় যুবদল নেতা ফিরোজ ও মনির গুলিবিদ্ধ হন, একজনের মাথায় গুলি লাগে। তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির সদস্য সচিব মফিজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হানিফ সরকার জানান, বেলঘরের উন্দানিয়া গ্রামে বিএনপির একজন অসুস্থ নেতাকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল মনিরুল হক চৌধুরীর। এ সময় ওই গ্রামে আওয়ামী লীগের একটি শান্তি সমাবেশ হচ্ছিল। আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির লোকজন ইটপাটকেল ছুড়লে সামান্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, গুলি ছোড়া হলে তার কিছু আলামত থাকে। ঘটনাস্থলে আমরা তেমন কোনো আলামত দেখিনি। গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।