২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। নিজ শহর মিয়ানওয়ালির সংসদীয় আসন থেকে এই মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে বলে দেশটির প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জিও নিউজ।
খবরে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের এনএ-১১২ ও নিজ শহর মিয়ানওয়ালির এনএ-৮৯ নির্বাচনি এলাকা জাতীয় নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ইমরান খান। উভয় আসনে তাঁর মনোয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তি ব্যাখ্যা করে এনএ-১২২ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ে নিযুক্ত রিটার্নিং অফিসার বলেছেন, ‘পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ইমরান খানের ঘাঁটি মিয়ানওয়ালি। এই এলাকা থেকে তিনি আগের নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। নির্বাচন কমিশন মুলতানের এনএ-১৫০, পিপি-২১৮ ও থারপারকারের এনএ-২১৪ থেকে পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান কুরেশির মনোনয়নপত্রও প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে সাবেক ফেডারেল মন্ত্রী ও পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহারের মনোনয়নপত্র পিপি-১৭২ থেকে বাতিল করা হয়েছে। খবরে বলা হয়, পদক্ষেপটি পিটিআইয়ের জন্য বড় ধাক্কা। দলটির হাই প্রোফাইল নেতা-কর্মীরা প্রতিনিয়তই মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশেষ করে ৯ মে তারিখে দাঙ্গা-সংক্রান্ত মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিও কারাগারে রয়েছেন। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) মিয়া নাসিরের মাধ্যমে উত্থাপিত আপত্তির ভিত্তিতে তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে নির্বাচন করা থেকে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছিল আদালত। উল্লেখ করা হয়েছিল, নির্বাচনি সংস্থা তাঁকে নির্বাচনি আইন, ২০১৭-এর ধারা ১৬৭-এর অধীনে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থীদের দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ের মেয়াদ ছিল ৩০ ডিসেম্বর (শনিবার) পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আপিল করা যাবে এবং ১০ জানুয়ারির মধ্যে এসব আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
