শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সুপার লড়াইয়ে মুখোমুখি বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া

আসিফ ইকবাল

সুপার লড়াইয়ে মুখোমুখি বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া

সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের অন্যতম ভিভিয়ান রিচার্ডস। টি-২০ ক্রিকেটে এখন যে ঘরানার স্ট্রোক খেলেন ক্রিকেটাররা, রিচার্ডস তার ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় সেই স্ট্রোক খেলে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। দ্বীপটির সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে ২০০৭ সালে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম তৈরি করে অ্যান্টিগা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। স্টেডিয়ামটির প্রবেশ পথে রিচার্ডসের ব্যাট হাতে খোলা টুপির ব্রোঞ্জের একটি মূর্তি স্বাগত জানাচ্ছে সবাইকে। মাঠে প্রবেশ গেটে রিচার্ডসের ক্রিকেটীয় মুহূর্তের বেশকিছু মুর‌্যাল। স্টেডিয়ামটির চারদিকে সবুজে ঘেরা। এখানে আগামীকাল সকাল সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ২০০৭ সালের পর টি-২০ বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার সুপার এইট খেলছে। মিচেল মার্শের অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। দলটি বর্তমান ওয়ানডে ও টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার লড়াই দিয়ে শুরু হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশের সুপার এইট।

২০০৭ সালের প্রথম আসরে সুপার এইট খেলেছিল বাংলাদেশ। গত ১৭ বছর প্রথম রাউন্ডের গন্ডি টপকেছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু এবারই প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ৩টি ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। গ্রুপ ‘ডি’তে নাজমুলবাহিনী ৪ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। ২ উইকেটে শ্রীলঙ্কা, ২৫ রানে নোদারল্যান্ডসকে ও ২১ রানে নেপালকে হারায় বাংলাদেশ। গ্রুপ ‘বি’ থেকে টানা ৪ জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিযন হয়ে সুপার এইট খেলছে অস্ট্রেলিয়া। সুপার এইটে গ্রুপ-১-এ খেলছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও প্রথম আসরের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত এবং চলতি আসরে চমকানো পারফরম্যান্স দেখানো আফগানিস্তান। সুপার এইটে টাইগারদের প্রথম ম্যাচ ২১ জুন অস্ট্রেলিয়া, ২২ জুন ভারত ও ২৪ জুন আফগানিস্তান ম্যাচ। দুই সাবেক চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলা অ্যান্টিগায় এবং ফজলহক ফারুকীদের বিপক্ষে ম্যাচ সেন্ট ভিনসেন্টে। গ্রুপ-২তে খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র-আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে সুপার এইটের সুপার লড়াই।   

অ্যান্টিগায় এই প্রথম টি-২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১৭ বছরের পুরনো স্টেডিয়ামটিতে দুটি করে ওয়ানডে ও টেস্ট খেলে সবই হেরেছে। সেই অর্থে একেবারেই অপরিচিত নয় মাঠটি। এ মাঠে খুব বেশি রান উঠে এমন নয়। দুইশর ঘরে কোনো স্কোর নেই। সর্বোচ্চ ৫ উইকেটে ১৯০ কানাডার। সব মিলিয়ে ১৫০ ঊর্ধŸ স্কোর হয়েছে ৮ বার। ৭টিই প্রথমে ব্যাট করে। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া পরস্পরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে ১০টি। ৬ জয় অস্ট্রেলিয়া এবং ৪টি বাংলাদেশের। ২০২১ সালের বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাটিতে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলেছিল দুই দল। টাইগাররা জিতেছিল ৪-১ ব্যবধানে। বিশ্বকাপে দুই দল খেলেছে ৫ ম্যাচ। সবই জিতেছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এবার দুরন্ত ক্রিকেট খেলছে নাজমুলবাহিনী। দলটিকে হারানো সহজ হবে না।

সর্বশেষ খবর