বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। পরে তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। গতকাল দুপুরের পর থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, পলক দিল্লি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, শুরুতে বিমানবন্দরের স্টাফ ও কর্মীরা পলককে আটকায়। পরে তাকে বেশ কিছু সময় বিমানবন্দরের বকুল লাউঞ্জে রাখা হয়। একই অবস্থা হয়েছে সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ক্ষেত্রেও। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে থাকা অবস্থায় নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটকে রাখে। পরবর্তীতে তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জানা গেছে, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই লাপাত্তা ছিলেন এই দুই প্রভাবশালী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার খোঁজের বিষয়ে সরব দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, হাছান মাহমুদের সার্ক ভিসা রয়েছে। সার্কভুক্ত যে কোনো দেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জনসমাগম এড়িয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই নিজ বাসা বা সরকারি বাংলোতে না গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
দুই ছাত্রলীগ নেতা আটক : দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও মহানগর উত্তরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। অভিযোগ রয়েছে, এই দুই নেতার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।