জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার বা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর আপিল বিভাগে জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত আপিলটি পুনরায় শুনানির জন্য আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
শিশির মনির বলেন, জামায়াত আইনি পদক্ষেপ অনুযায়ী পথ চলতে চায়। গত ৫ আগস্ট তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়। ওই দিনই সেনাপ্রধানের অফিস ও বঙ্গভবনে রাজনৈতিক দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অতঃপর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের ক্ষেত্রেও জামায়াত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জামায়াত রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে। গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, মন্দির পাহারা, শহীদ পরিবার ও আহত-পঙ্গুদের পাশে দাঁড়ানো ও বন্যাদুর্গতদের মানবিক সহায়তা দেওয়া তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শিশির মনির আরও বলেন, ১২ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী এ বিষয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখা হয় এবং আশু সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আইনি বিধানগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১৯ ধারা অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অতঃপর আইন অনুযায়ী সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক তিন সদস্যবিশিষ্ট প্যানেল গঠন করা হয়। আমাদের তথ্য অনুযায়ী ইতোমধ্যে এ-সংক্রান্তে যথাযথ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল করে নতুন গেজেট প্রকাশিত হবে।