আইসিইউ বেড বাবদ ৭ হাজার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জরুরি বিভাগের মেঝেতে ৯ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় দীপ্তকে। তারপর তার মৃত্যু হয়। একই সময় আরও দুটি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দীপ্তর মৃত্যুর সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলার কোনো সম্পর্ক নেই। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতেই মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দীপ্তর বাবা ও তার বন্ধুরা। মামলায় দীপ্তর কাতারপ্রবাসী বন্ধুকেও আসামি করা হয়। গতকাল দুপুরে গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দীপ্তর বাবা শহীদুল ইসলাম মাজু এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দীপ্তর বন্ধু রাশে স্বর্ণ বাবু। সাংবাদিকরে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আবদুল্লাহ সানি, তামিজি রায়হান প্রমুখ। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি-বিইউবিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম দীপ্ত গত শুক্রবার রাতে ঢাকার কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্ঘটনার পর দীপ্তর মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন দুর্বৃত্তরা হাতিয়ে নেয়। পরে নিলয় নামে এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বন্ধে অস্ত্রোপচার ও আইসিইউ সেবা পেতে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু আইসিইউ বেড ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা বাবদ ৭ হাজার টাকা দাবি করা হয়। দীপ্তর স্বজনরা না থাকায় টাকা না পেয়ে তাকে চিকিৎসাসেবা না দিয়ে জরুরি বিভাগের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। পর দিন শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পরদিন দুপুরে দীপ্তর বন্ধু সঞ্জয় পাল জয়সহ অন্য বন্ধুরা এসে বিনা চিকিৎসায় দীপ্তর মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। ওইদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুটি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ঘটে। বিনা চিকিৎসায় দীপ্তর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার বন্ধুদের মামলায় জড়ানো হয়। এমনকি কাতারপ্রবাসী বন্ধুকেও আসামি করা হয়।