ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল সকালে সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের সোনাতনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে প্রায় ৩০টি বাড়ি। স্থানীয়রা জানান, ফুরসন্দি ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি সাহাবুর মোল্লা ও রাজা মেম্বারের সমর্থকদের বিরোধের জেরে সাহাবুর মোল্লা ও ফুয়াদ বিশ্বাসের সমর্থক খেজমত আলী ও তার ছেলে নবাবকে গ্রামের মাঠে মারধর করে রাজা বিশ্বাসের লোকজন। এরপর উভয় পক্ষ দেশি অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ১০ জন আহত হয়। গুরুতর সাতজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন সাহাবুর মোল্লার সমর্থক নবাব বিশ্বাস (৩৬), খেজমত বিশ্বাস (৬৫), আনোয়ারুল বিশ্বাস (৭০) ও মিনাদুল বিশ্বাস (৩৫) এবং ফুরসন্দি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জাহিদ বিশ্বাসের সমর্থক রাজা মেম্বার গ্রুপের মামুন বিশ্বাস (৩৫), রওশন বিশ্বাস (৬০), বাবলু বিশ্বাস (৩৫)। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সাহাবুর মোল্লার সমর্থক ফুয়াদ বিশ্বাস অভিযোগ করেন, রাজা মেম্বার ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এখন তিনি ফুরসন্দি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জাহিদ বিশ্বাসের পক্ষ নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছেন।
রাজা মেম্বার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ফুয়াদ যেটা বলছে সেটা সত্য নয়। সাহাবুর মোল্লা ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন। তার সমর্থকরা সকালে তিন গ্রামের প্রায় ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হওয়ায় তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে; যাতে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুই গ্রপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।