জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং’ প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এই রায় দেন। আদেশে অ্যাভিডেন্স (সাক্ষ্যপ্রমাণ) হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞান আহরণের উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি সংরক্ষণ করতে ‘জুলাই রেভল্যুশন-২০২৪’ হিসেবে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। রায়ের পর আইনজীবী তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন হাই কোর্ট। প্রতিবেদনটি তিন মাসের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। গেজেটের নাম হবে ‘জুলাই রেভল্যুশন-২০২৪’। চলমান মামলা হিসেবে বিষয়টি থাকবে। সেজন্য তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। রায়ের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদনটি অ্যাভিডেন্স এবং ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে যাতে বাংলাদেশে বিবেচনা করা হয়, এই দুটি দিক বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয়কে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কমপ্লায়েন্স (অগ্রগতি প্রতিবেদন) দিতে বলা হয়েছে। সম্পূরক রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করা হয়েছে। ‘ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখা’ এবং গণহত্যায় (জুলাই-আগস্ট) দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ গত বছরের ১৩ আগস্ট হাই কোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৫ আগস্ট হাই কোর্ট রুল জারি করেন।