বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানিকারকরা সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর কারণে মারাত্মক আর্থিক জটিলতায় পড়েছেন। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করেছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিএমইএর প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রহিম, ফাহিমা আক্তার, এ বি এম সামছুদ্দিন, রিও ডিজাইন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুক আহমেদ, ও’ডেল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মোহাম্মদ মোহিত, ডে অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারী এবং একেএইচ ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলম।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কয়েকটি ব্যাংকের তারল্য সংকটের কারণে রপ্তানি আয় সময়মতো উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সংকটাপন্ন এসব ব্যাংক নতুন করে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতেও ব্যর্থ হচ্ছে। এর ফলে পোশাক কারখানাগুলো উৎপাদন ও রপ্তানি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় শ্রমিক অসন্তোষও বাড়ছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এবং বৈদেশিক ক্রেতাদের আস্থা নষ্ট করছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অনেক কারখানা রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হবে, শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হবে এবং দেশের প্রধান রপ্তানি খাত আরও বড় ঝুঁকির মুখে পড়বে। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের প্রাপ্য অর্থ সাময়িকভাবে পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে রপ্তানিকারকরা জরুরি আর্থিক চাহিদা মেটাতে পারেন। পাশাপাশি সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।