জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিজয়ে অনেকেই অভিভূত হয়েছেন। এ নির্বাচনের প্রভাব আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে। তবে অতি উৎসাহিত হয়ে কৃতিত্ব জাহির করা যাবে না। বিনয়ী হতে হবে। জনগণের সেবক হতে হবে। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। যারা আমাদের পছন্দ করেন, ভালোবাসেন এবং আমরা যাদের পছন্দ করি, ভালোবাসি তাদের নিয়েই আমরা আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে নির্বাচন করার আশা করি। সেই নির্বাচনে বিজয় লাভ করার লক্ষ্যে আর্থিক কোরবানিসহ সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতাসহ কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
গতকাল জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি নূরুন্নিসা সিদ্দীকা। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনে ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জাতীয় নির্বাচন ২০২৬’ শীর্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এতে দারসুল কোরআন পেশ করেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। অধিবেশনে কেন্দ্রীয় মহিলা কর্মপরিষদ সদস্যসহ সারা দেশ থেকে নির্বাচিত শুরা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত আমির বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অনেকে নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন এবং অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে এখনো অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের সুস্থতার জন্য আমরা দোয়া করছি। আমাদের সবার কোরবানি আল্লাহ কবুল করে আমাদের সবাইকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। তিনি বলেন, আমাদের নেতৃবৃন্দ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের নানা ধরনের জেল-জুলুম, নির্যাতন ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করেছেন। অনেকেই জীবন দিয়েছেন। তাদের সেই ত্যাগ-কোরবানির বিনিময়ে আমরা মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের কাজ হলো দায়িত্ব পালন করা। ফল দেওয়ার মালিক আল্লাহতাআলা। আমাদের আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে।