প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, এলডিসি উত্তরণ স্থগিত করা সরকারের হাতে নেই। সরকার আবেদন করতে পারে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেলে তবেই এলডিসি উত্তরণ স্থগিত হবে। গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ-মার্কিন ট্যারিফ চুক্তি : কীভাবে বাণিজ্য সুবিধা হতে পারে’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস। সেমিনারে তিনটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন বিআইআইএসএস গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) অধ্যাপক ড. গোলাম রসুল এবং বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক খান। বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএস-এর গবেষণা পরিচালক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণে সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে আছি। এলডিসি স্থগিত করতে হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৯৭ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন। এটা খুব সহজ নয়।
তিনি বলেন, ব্যবসাবাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তির লক্ষ্যে দরকষাকষিতে বাংলাদেশ দুর্বল। এক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। আমরা সংস্কার চাই। সবক্ষেত্রেই সংস্কার আনার চেষ্টা করছি। বাণিজ্য খাতে সংস্কার আনতে সমন্বিত অনলাইনে সেবা চালু করা হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ছয় মাসের নোটিসে শুল্ক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ সফল হয়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের পণ্য কেনার সুযোগ কম। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চাই। সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন লাখেরও বেশি গম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের পণ্য রপ্তানি বাড়াতে হলে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।