ফরিদপুর-৩ সদর আসনের সাবেক এমপি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আবদুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় বিএনপি। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে দুই দিন ধরে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিলসহ মশাল মিছিল করেছেন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ কে আজাদের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে গতকাল বিকালে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফরিদপুর মহানগর বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দল। এদিন শহরের হাই স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে মহানগর বিএনপির সভাপতি এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিকী মিতুল, মিজানুর রহমান মিনান, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরিজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শাহরিয়ার শিথিল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈকত হাসান প্রমুখ। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এ কে আজাদ আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে মাঠে নেমেছেন। গত নির্বাচনে তিনি হাসিনার ডামি প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। এ কে আজাদ কয়েক দিন ধরে ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বক্তারা আরও বলেন, সারা দেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ এ দলটির নেতারা পলাতক থাকলেও এ কে আজাদ দলটির নেতাদের নিয়ে কাজ করছেন। বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রশাসন যদি এ কে আজাদসহ আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ফরিদপুর থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এদিকে এ কে আজাদের গ্রেপ্তার দাবিতে গতকাল রাতে শহরের শিবরামপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে একটি মশাল মিছিল বের হয়। তা ছাড়া মহানগর কৃষক দলের উদ্যোগে শহরের রাজবাড়ি রাস্তার মোড় থেকে আরেকটি মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
উভয় মশাল মিছিল থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।