জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর রদবদল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি মনে করে, একটা উদ্দেশ্যে কোনো জায়গা থেকে এটা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মাঠ প্রশাসনের কর্তৃত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতে এলে সব ডিসি-এসপি একযোগে বদলির দাবি জানানো হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। প্রয়োজনে লটারির মাধ্যমে প্রশাসন ও পুলিশে বদলি করার পরামর্শ দিয়েছেন দলটির নেতারা। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়ে জামায়াত নেতারা এসব কথা বলেন। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র, বৈধ অস্ত্র উদ্ধারে উপকূলীয়, পার্বত্য এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়ার তাগিদ দেন তারা।
জামায়াত, এনসিপিসহ সাতটি দলের নেতারা গতকাল সকালের পর্বের সংলাপে অংশ নেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে দলটির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এবং আইনজীবী শিশির মনির।
গত কিছু দিনে জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে রদবদলের প্রসঙ্গ তুলে ধরে গোলাম পরওয়ার বলেন, রদবদলের বিষয়টা এক মাসে হয়নি, ২০ দিনও হয়নি। ডিসি সেখানে রদবদল হয়েছে। মনে হয়েছে যেন কোনো ডিজাইন করে একটা উদ্দেশে কোনো জায়গা থেকে এটা হচ্ছে। .দুর্বল কাঠামোতে নির্বাচন করতে হচ্ছে। ইসি সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন। প্রকৃত অর্থে বিগত দিনে স্বাধীন ছিল না। কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে শিকার হয়েছে। ইসিকে কাজে লাগিয়ে জাতিকে বোকা বানানো হয়েছে। যার পরিণতিতে তিন কমিশনকে ভুগতে হচ্ছে, এটার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। জামায়াতের এ সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, শুধু পলিসি লেভেলে স্বচ্ছতা থাকলে হবে না। পলিসি লেভেলে পরিকল্পনায় স্বচ্ছতা দেখা যাচ্ছে, ন্যায্যতা নিয়ে ডাউট এখনো নেই। এখনো আমরা ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো বক্তব্য রাখিনি। কনফিডেন্স দেখিয়েছি। কিন্তু এক্সিকিউটিভ লেভেলে প্রশ্ন আছে। সরিষার মধ্যে ভূত আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে।