শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

টি-শার্টে বৈচিত্র্য

টি-শার্টে বৈচিত্র্য

♦ মডেল : সুফল ও নিলয় ♦ ছবি : টুটুল নেছার ♦ পোশাক : ইজি

আজকাল ক্যাজুয়াল পোশাকেই বাইরে চলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনেকে। টি-শার্টের আবেদন সবার কাছেই সমান। শহুরে পথ মাড়াতে পায়ে হেঁটে কিংবা গাড়িতে ছুটতে টি-শার্টেই আরাম। সবাই চান একটু আরামের পাশাপাশি ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ। তাই টি-শার্টের কদর একাল সেকাল সব কালেই। সব ঋতুতেই ছেলেদের অন্যতম পছন্দ টি-শার্ট।

গ্রীষ্মের উত্তাপ বাইরে। গরমে আরাম খুঁজতে টি-শার্ট এখন ট্রেন্ডি। ফেব্রিক ভালো দেখে কিনতে পারলে এই গরমেও ফুরফুরে মেজাজে থাকা যাবে টি-শার্ট পরে। তরুণ বয়সীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় বলে বয়সের সীমানা দিয়ে টি-শার্ট বাছাইয়ে খুব ঝামেলা পোহাতে হয় না। আজকাল ক্যাজুয়াল পোশাকেই বাইরে চলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনেকে। টি-শার্টের আবেদন সবার কাছেই সমান। শহুরে পথ মাড়াতে পায়ে হেঁটে কিংবা গাড়িতে ছুটতে টি-শার্টেই আরাম। সবাই চান একটু আরামের পাশাপাশি ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ।

তাই টি-শার্টের কদর একাল-সেকাল সব কালেই। সব ঋতুতেই ছেলেদের অন্যতম পছন্দ টি-শার্ট। বাইরের রোদে সোনালি আভায় রং বাহারি টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। গাঢ় থেকে হালকা সব ধরনের রঙেই টি-শার্ট মানিয়ে যায় বেশ। রঙের এই বৈচিত্র্য থাকায় তরুণ-তরুণীদের কাছে টি-শার্টের জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে-এমনটা ভেবে নিলে দোষ হবে না। মধ্যবয়সীরাও মানানসই টি-শার্ট পরছেন স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবেই। অফিস কিংবা বাজার- কাজে বাইরে বেরোতে ঝটপট পরে নেওয়ার সুবিধা তো রয়েছেই, সঙ্গে ফ্যাশনেবল লুকের জন্য টি-শার্ট বাছাই করেন অনেকে। টি-শার্ট পরার ক্ষেত্রে কোন রঙে নিজেকে মানাবে সেটা বুঝে নেওয়া জরুরি। বিভিন্ন ক্যারেক্টরের গ্রাফিক ও বিভিন্ন রকম গ্রাফিক ডিজাইনের টি-শার্ট খুব জনপ্রিয়। আজকাল একরঙা টি-শার্ট পরতে দেখা যায় তরুণ-তরুণীদের। এ ছাড়া সবুজের বিভিন্ন শেড, লালের বিভিন্ন শেড, নীল, বাসন্তী, নীল ইত্যাদি রঙের টি-শার্ট ক্রেতার নজর কাড়ছে। এসব উজ্জ্বল রং ছাড়াও কিছু হালকা রং আছে, যা সব বয়স আর সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে। যেমন ছাই, বাদামি, হালকা বেগুনি। নিট কাপড়ের টি-শার্ট আরামদায়ক। এ সময় উজ্জ্বল ও শুভ্র রংগুলো সবার পছন্দ। আর তাই এই সময়ে হালকা উজ্জ্বল রঙের টি-শার্ট বেছে নেওয়া ভালো। ফেব্রিক হালকা হলে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে। খুব বেশি ঢিলেঢালা টি-শার্ট না পরে ফিট বা সেমি ফিট টি-শার্ট  বেছে নিতে পারেন। ডিজাইনাররা টি-শার্টগুলো তৈরি করেন প্রায় স্লিমফিট স্টাইলে। বয়স যাই হোক, এমন টি-শার্টে ফ্যাশনেবল লুক খুব সহজেই পাওয়া যায়। সাধারণত টি-শার্টে বোতাম বা কলার হয় না। গোল গলা কিংবা ভি-নেকে বেশ আকর্ষণীয় দেখায়। টি-শার্টে এখন নতুনত্ব হচ্ছে হাফ হাতার নিচের দিকে ও কলারে ভিন্ন কাপড়ের ব্যবহার। এ ছাড়া ফতুয়া গলার টি-শার্টও এখন বেশ চলছে। যেগুলোর হাতা বা নিচের দিকে পাইপিং দেওয়ায় এসেছে নতুনত্ব। কাঁধে বা হাতায় একাধিক মোটা সেলাই দেখা যাচ্ছে। নিচের দিকে সম্পূর্ণ গোল কাট। পোশাক নির্বাচনে কন্টাস্ট বা দুটো ভিন্ন হলেই ভালো লাগবে। নগরীর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ও শপিং মলগুলোতে পাওয়া যাবে দেশি-বিদেশি ফ্যাশনেবল টি-শার্ট। একটু ভালো মানের টি-শার্ট কিনতে যেতে পারেন দেশি ও বিদেশি ফ্যাশন হাউসগুলোয়। ব্লক, বাটিক, স্ক্রিনপ্রিন্টসহ প্রতিটি টি-শার্ট যেন একেকটি রংতুলির ক্যানভাস। গরমে স্টেচিং নিট কাপড়ের টি-শার্টই আরামদায়ক। টি-শার্টগুলোতে রং ও ডিজাইনের জন্য সহজেই প্যান্ট আর জুতার সঙ্গে ম্যাচিং করা যায়। ক্যাজুয়াল লুকের জন্য টি-শার্টের সঙ্গে জিন্স খুব মানায়। আবার সেমি ফরমাল বা ফরমাল লুকের জন্য পোলো টি-শার্টের সঙ্গে গ্যাবার্ডিন ও সুতি প্যান্ট মানিয়ে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর