শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

দর্জিবাড়ির সময়

তৈরি পোশাকে অনীহা! আছে দর্জিবাড়ি। পছন্দের কাপড়ে দর্জিবাড়ি থেকে যুতসই মাপে বানিয়ে নিতে পারেন নতুন ঈদ পোশাক।

সাদিয়া সারা

দর্জিবাড়ির সময়

♦ ছবি : নেওয়াজ রাহুল ♦ কৃতজ্ঞতা : হ্যালো লেডিস টেইলর

তৈরি পোশাকে যাদের অনীহা তাদের জন্য আছে দর্জিবাড়ি। অনেকে নিজের ডিজাইনে  বানিয়ে নেন নতুন পোশাক। রাজধানীর বেশিরভাগ দর্জিবাড়ির চাপ বাড়তে থাকে রোজার শুরু থেকেই। উদ্দেশ্য, কম ভিড়ে পছন্দের ডিজাইনে পোশাকে ভিন্নতা আনা। ফরমাল এবং ক্যাজুয়াল; দুই ধরনের ফ্যাশন ফুটিয়ে পোশাকে বৈচিত্র্যতা আনতে ব্যতিব্যস্ত দর্জিবাড়ির কারিগররা।

 

রোজার শুরু থেকেই দর্জিবাড়িগুলোয় বাড়তে থাকে ফ্যাশনপ্রেমী মানুষের ভিড়। ঈদ উপলক্ষে উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীরা তৈরি পোশাকে ঝুঁকলেও রমজানের শুরু থেকে মধ্যবয়সী তরুণ এবং তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে দর্জিবাড়িগুলো। পছন্দের কাপড় বাছাই, ঠিকঠাক মাপ এবং ডিজাইন নিয়ে রমজানের শুরু থেকেই দারুণ ব্যস্ত সময় পার করেন ফ্যাশনপ্রেমী তরুণ-তরুণীরা।

 

গুলশানের হ্যালো লেডিস টেইলর শপ-এর পরিচালক কাজী রেজওয়ানা সোমা বলেন, ‘আজকালের তরুণীরা ঈদকে কেন্দ্র করে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি ফরমায়েশি পোশাক নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করেন। অনেকে তো নিজস্ব ডিজাইন-প্যাটার্ন নিয়ে হাজির হন আমাদের টেইলর ফ্যাশন শপগুলোয়।  ক্যাটালগ দেখে পছন্দের ডিজাইন অর্ডার করছে। আমরাও গ্রাহকের পছন্দকে সম্মান জানিয়ে বরাবরই ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি করে থাকি। তরুণীরা বৈচিত্র্যময় কুর্তি-কামিজের পাশাপাশি নতুন নতুন ডিজাইনের প্যান্ট তৈরিতে বেশ সচেতন হচ্ছেন। ফরমাল এবং ক্যাজুয়াল দুই ধরনের পোশাকের দিকেই ঝুঁকছেন ফ্যাশনপ্রেমী মানুষ। মেয়েদের ফরমায়েশি পোশাকের মধ্যে গাউন, কুর্তি, সিঙ্গেল কামিজ, লেহেঙ্গা, থ্রি-পিস, শার্ট ইত্যাদির অর্ডার হচ্ছে বেশি।’

 

একই দৃশ্য দেখা গেল এলিফ্যান্ট রোডের বিভিন্ন দর্জিবাড়ির আউটলেটে। সানমুন টেইলর অ্যান্ড ফেব্রিক-এর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের মিন্টু সাহেব বলেন, ‘ঈদে তরুণদের পছন্দ পাঞ্জাবি। এবারও শার্ট-প্যান্টের চেয়ে পাঞ্জাবির অর্ডার বেশি আসছে। ঈদ উপলক্ষে অনেকে স্যুট-কোট এবং ব্লেজারও বানিয়ে নিচ্ছেন। রমজানের শুরুর দিক থেকে চাপ থাকলেও আমরা ২০ রমজান পর্যন্তই অর্ডার গ্রহণ করে থাকি।’

 

ফরমাল পোশাকে ঈদ রাঙাতে ১৬ থেকে ৬৬, সব বয়সীর ভিড় দেখা গেল ফেব্রিক ও টেইলরিং ব্র্যান্ড টপটেন শো-রুমে। স্টাইলিশ প্যান্ট থেকে শুরু করে ফরমাল এবং ক্যাজুয়াল ধাঁচের সব ধরনের শাটে অর্ডার নেওয়া হয় এসব শো-রুমে। পাঞ্জাবির কাজে চলছে কারচুপি ও জারদৌসি। বুকে ডাবল পকেট দিয়ে কাবলি স্টাইলের পাঞ্জাবিও বানাচ্ছেন অনেকে। অনেকে পাঞ্জাবিতে করাচ্ছেন জরি এবং সুতার কাজ। একইভাবে শার্ট বা পাঞ্জাবির সঙ্গে মানিয়ে বানিয়ে নিচ্ছেন ফরমাল বা গ্যাবার্ডিন প্যান্ট। কার্টি-ফিটিং-এ বৈচিত্র্যতা আনার জন্য নগরীর শো-রুম এবং টেইলার্সগুলোতে ভিড় করছে সবাই।

 

মেয়েদের সালোয়ার-কামিজের মজুরি পড়বে ৩০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত। কুর্তি-কামিজ ৪৫০-১,০০০, ব্লাউজ ২০০-৩৫০, লং ফ্রক ৫০০-১০০০,  প্যান্ট ৫৫০ টাকা। ছেলেদের শার্ট ৪৫০ টাকা, প্যান্ট ৫৫০ টাকা, পাঞ্জাবি ৬০০ টাকা স্যুট-কোর্ট ৫,৫০০ টাকা, ব্লেজার ৪,৫০০ টাকা। দোকানভেদে দাম ওঠানামা করতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর