শিরোনাম
১০ জুন, ২০২৩ ১৭:৪৫
সাইন্টিফিক কনফারেন্সে বক্তারা

‘পালমোনারি হাইপারটেনশন রোগ নীরব ঘাতক’

অনলাইন ডেস্ক

‘পালমোনারি হাইপারটেনশন রোগ নীরব ঘাতক’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ও পালমোনারি হাইপারটেনশন সাপোর্ট সেন্টারের কো-কনভেনর ডা. জাহানারা আরজু

পালমোনারি হাইপারটেনশনে এমন একটা প্রেশার যাতে হৃদরোগসহ নানাবিধ কারণে ফুসফুসের রক্তনালীতে উচ্চ রক্তচাপের তৈরি হয়। এই রোগটা অনেকটা ক্যান্সারের মতো। এতে মৃত্যঝুঁকিও হতে পারে। সম্মিলিত চিকিৎসা ছাড়া এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। 

গত শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিএসএমএমইউ পালমোনারি হাইপারটেনশন সাপোর্ট গ্রুপ ও পালমোনারি হাইপারটেনশন সেন্টার আয়োজিত ১ম সাইন্টিফিক কনফারেন্স অন পালমোনারি হাইপারটেনশনে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমদ বলেন, পালমোনারি হাইপারটেনশন নীরব ঘাতক। এই রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন বিভাগের হাসপাতালের চিকিৎসকরা কাজ করছেন। হাসপাতালে ক্যান্সারে যত রোগী আসে তাদের রেজিস্ট্রি করি। পালমোনারি হাইপারটেনশন রোগীদেরও যাতে আলাদা রেজিস্ট্রি হয় এ বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো উন্নত করার কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএবএমইউয়ে রিসার্চের পাশাপাশি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নেন, ২ হাজার রোগী ভর্তি হন, ১০০০ রোগীর অপারেশন হয়।

মো. শরফুদ্দিন আহমদ বলেন, জনবল কম থাকায় চিকিৎসকদের অত্যন্ত পরিশ্রম করতে হয়। যার কারণে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকে কষ্ট পেতে পারেন। হাসপাতালের জনবল বাড়ানোর জন্য আবেদন জানাবো।

স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ও পালমোনারি হাইপারটেনশন সাপোর্ট সেন্টারের কো-কনভেনর ডা. জাহানারা আরজু বলেন, পালমোনারি হাইপারটেনশনে এমন একটা প্রেশার, যা হৃদরোগসহ নানাবিধ কারণে ফুসফুসের রক্তনালীতে উচ্চ রক্তচাপের তৈরি হয়। এটা এমন একটা রোগ যার একা চিকিৎসা করা সম্ভব নয়, সম্মিলিত চিকিৎসা জরুরি।

তিনি বলেন, এই রোগটা অনেকটা ক্যান্সারের মতো। এতে মৃত্যঝুঁকিও হতে পারে। আমরা বিএসএমএমইউতে ২০১৫ সালে পালমোনারি হাইপারটেনশন ক্লিনিক শুরু করেছিলাম। আমাদের এখানে ভালো ইকো কার্ডিওগ্রাফার এবং এনজিওগ্রামসহ এই রোগের শেষ চিকিৎসা রয়েছে। এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রিতে ৬৫ জন রোগী আছেন। আমি সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাবো, আমরা যাতে এসব রোগীদের চিকিৎসা করতে পারি সেজন্য রেজিস্ট্রিতে রোগদের নাম অন্তর্ভূক্তিতে সচেতন হওয়া দরকার।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর