ভারত সহিষ্ণুতার দেশ এবং বিহার নির্বাচনের ফলাফলই প্রমাণ করে যে ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষই শান্তি ও সৌহার্দ্যের প্রতি বিশ্বাসী। এমনটাই বলেছেন তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামা। শনিবার পাঞ্জাবের জলন্ধরে লাভলি প্রফেশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উচ্চারণ না করে নোবেল জয়ী দালাই লামা বলেন, ‘শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখাই ভারতের চিরদিনের ঐতিহ্য। সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভার নির্বাচনেই বিহারের নাগরিকরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষরাই এখনও শান্তি ও সৌহার্দ্যে বিশ্বাস করেন’। তার মতে, ‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতার কারণেই সারা বিশ্বেই ভারতের যথেষ্ট সুনাম আছে। এখানে প্রতিটি ধর্মের মানুষকেই সমান মর্যাদা ও সম্মান দেয়া হয়’।
দালাই লামা বলেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা মানে শুধু অন্যান্য ধর্মকে সম্মান করাই নয়, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষকেই সম্মান করতে হবে। এই দেশেই বৌদ্ধধর্মের জন্ম হয়েছিল। ভারতবর্ষই এর আঁতুড়ঘর, তাই ভারতই এর গুরু এবং সমস্ত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শিক্ষার্থী। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তর থেকে পড়ুয়াদের ধর্মীয় সহিষ্ণতুার ব্যপারেও উৎসাহিত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে তিব্বতি ধর্মগুরু বলেন, আমাদেরকেই প্রথমে শান্তির পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে এবং এটা নিজের বাসা থেকেই প্রথম শুরু করতে হবে। পাশাপাশি সমস্ত স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তর থেকে পড়–য়াদেরও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ব্যপারে উৎসাহ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। শুক্রবার রাতে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলারও তীব্র নিন্দা করেন দলাই লামা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা