জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) আর্থিক মদতদাতা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিস্ফোরক মন্তব্যের পরেই অধিকৃত সিরিয়ায় নতুন উদ্যমে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার আইএসের শক্ত ঘাঁটি রাক্কায় এ হামলা চালানো হয়। এর আগে সোমবারই রাক্কায় উপর্যুপরি হামলা চালিয়েছিল ফরাসি বিমান বাহিনী। মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগসূত্রে এই খবর জানা গেছে।
এই হামলার বিষয়ে মস্কোর পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে গত মাসে আইএস জঙ্গিদের বোমায় মিশরের আকাশে রুশ যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংস হওয়ার পরই বদলা নেওয়ার শপথ নিয়েছেন পুতিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘‘আমরা জানি গত কয়েক ঘণ্টায় রাশিয়া রাক্কায় একাধিক অভিযান চালিয়েছে। সমুদ্রের বুক থেকে যেমন ক্রুজ মিসাইল ছাড়া হয়েছে, তেমনই রণতরী থেকে দূরপাল্লার বোমারু বিমানও অধিকৃত রাক্কার দিকে ধেয়ে গিয়েছে।’’
আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে আমেরিকা ও রাশিয়া দুই মহাশক্তিই। কিন্তু এই সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের জন্য তারা একে অপরের সঙ্গে জোট বাঁধেনি। তাহলে এই খবর মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেল কী করে?
এর উত্তরে ওই কর্মকর্তা জানান, গত অক্টোবরে উভয় দেশ একটি সুরক্ষা প্রটোকলে সম্মত হয়। ওই প্রটোকল অনুযায়ী রাশিয়া ও আমেরিকা আসন্ন অভিযান সম্পর্কে পরস্পরকে আগাম জানিয়ে রাখছে। সেইমতো কাতারে আমেরিকার জোটশক্তির যে কম্বাইন্ড এয়ার অপারেশন সেন্টার রয়েছে, সেখানেই রাশিয়া তাদের অভিযান সম্পর্কে আগাম বার্তা পাঠিয়েছিল। পেন্টাগন সেখান থেকেই খবর পায়।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব