ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের না থাকার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের পরপরই দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টির নেতা নিজেল ফারাজ। সেইসঙ্গে তিনি গণভোটের ফলাফলকে ব্রিটেনের সাধারণ জনগণের বিজয় বলে আখ্যায়িত করেছেন। ব্রিটেনের ইইউ ছাড়ার পক্ষে গত বিশ বছর ধরে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন মি. ফারাজ। তবে ক্যামেরন পদত্যাগ করছেন না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড জানিয়েছেন। খবর বিবিসির
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে শিগগিরই গণভোটের ফলাফলের প্রেক্ষিতে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন বলে খবরে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ গণভোটের আহ্বান করেছিলেন। 'লিভ ক্যাম্প'র জয়ের প্রেক্ষিতে এ আহ্বানকে কেউ কেউ তার জন্য ভুল ছিল বলে এখন মন্তব্য করছেন।
গতকাল অনুষ্ঠিত গণভোটে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭১.৮ শতাংশ যা দেশটির ইতিহাসে ১৯৯২ সালের পর থেকে কোনো নির্বাচনে সর্বোচ্চ। ৪৬ মিলিয়নের বেশি মানুষ ভোট দেয়ার যোগ্য ছিল। এর মধ্যে ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে বলে সর্বশেষ ফলাফলে দেখা গেছে।
সর্বশেষ ভোট গণনায় দেখা গেছে, ইইউ ছাড়ার পক্ষের শিবির ৫১.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে যা সংখ্যার হিসাবে ১ কোটি ৭১ লাখের চেয়ে কিছু বেশি। আর ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ যা সংখ্যার হিসাবে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫২ হাজারের কিছু বেশি। এখন পর্যন্ত ৩৮২টি নির্বাচনী অথরিটির মধ্যে ৩৮০টিরই ফলাফল পাওয়া গেছে।
এদিকে, 'লিভ ক্যাম্প'র কথিত নেতা লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন ও মাইকেল গোভ অবশ্য ফলাফল যা-ই হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি চিঠিতে জানিয়েছেন।
অপরদিকে, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়ালটার স্টেইনমায়ার গণভোটের ফলাফলকে ব্রিটেন ও ইউরোপের জন্য 'দুঃখজনক দিন' বলে বর্ণনা করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ জুন ২০১৬/শরীফ