সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে বাধা দেওয়ায়’ মা’কে হত্যা করেছে দুই যমজ ভাই। মা'কে হত্যার অভিযোগ ঐ দুই ভাইকে গেফতার করেছে সৌদি আরব পুলিশ। গত ২৪ জুন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ইসলামপন্থি জঙ্গিদের উত্থান নিয়ে সৌদি আরববাসীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
২৪ জুনের ওই হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “যমজ দুই ভাই খালেদ ও সালেহ আল-ওরাইনি রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত তাদের নিজ বাড়িতে ৬৭ বছর বয়সী মা হাইলা, ৭৩ বছর বয়সী বাবা ও ২২ বছর বয়সী ভাইকে ছুরি মেরেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
২৬ জুন সৌদি ওয়েব সাইট আখবার২৪ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবে গত বছর জুলাইয়ের পর সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হাতে পরিবারের সদস্যদের নিহত হওয়ার এটি পঞ্চম ঘটনা।
সৌদি গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর তাদের মা হাইলা মারা যান। বাবা, মা ও ভাইকে ছুরি মারার পর ২০ বছর বয়সী দুই ভাই খালেদ ও সালেহ সীমান্ত পেরিয়ে ইয়েমেনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি রয়টার্সকে বলেন, “ওই যমজ ভাইয়েরা তাদের মা’কে হত্যা করেছে বলে আমরা সন্দেহ করছি। মামলাটি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।এখন পর্যন্ত আমরা মাত্র একটি বিষয় নিশ্চিত হতে পেরেছি। তা হল, ওই দুই ভাই তাকফিরি মতবাদের অনুসারী।”
এদিকে গত সোমবার মদিনায় মহানবী (সা.) এর মসজিদ হিসেবে খ্যাত মসজিদে নববীর কাছে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত চার নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৬ জুলাই ২০১৬/হিমেল-০১