অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তুরস্কের ডানপন্থী সরকার উচ্ছেদের দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির পরাক্রমশালী সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
'গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে' সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে বলে টিভি চ্যানেলগুলোর খবরে বলা হচ্ছে।
টেলিভিশনের পর্দায় পড়ে শোনানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এখন ‘শান্তি পরিষদ’ দেশ চালাবে এবং সান্ধ্য আইন ও সামরিক আইন জারি থাকবে।
একই সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান বৈদেশিক সব সম্পর্ক বহাল থাকবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রধান্য পাবে বলে এতে বলা হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ইস্তানবুলের আতাতুর্ক বিমান বন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সেতুও তাদের দখলে। রাস্তায় নেমেছে ট্যাংক। আকাশে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার চক্কর দিচ্ছে। ১৯৯৭ সালে সর্বশেষ অভ্যুত্থানে ডানপন্থী সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে একে অভ্যুত্থান বলা নাকচ করে এর জন্যে সেনাবাহিনীর একাংশকে দায়ী করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর’ এই বিদ্রোহ পরিস্থিতি তিনি মোকাবেলা করবেন। এই বিদ্রোহ নস্যাৎ করতে জনগণকে রাজপথে নেমে আসারও ডাক দিয়েছেন এরদোয়ান।
সিএনএন তুর্ককে মোবাইল ফোনে তিনি এই প্রচেষ্টাকে একটি ‘সমান্তরাল কাঠামোর’ কাজ হিসেবে বর্ণনা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
এদিকে জ্যেষ্ঠ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে আটকের খবর দিয়েছে বিবিসি।
রাজধানী আংকারা ও ইস্তানবুলের পুলিশ সদর দপ্তর এলাকায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলেও বিবিসি জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, একযুগের বেশি সময় ধরে তুরস্ক শাসন করে আসা ডানপন্থী সরকারপ্রধান এরদোয়ানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের এই প্রচেষ্টা সফল হলে তা হবে কয়েক বছরের মধ্যেপ্রাচ্যে ক্ষমতার বড় ধরনের পালাবদল।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ