মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়গুলোকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে যাওয়া ট্রাম্প। আর এতে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্তে থাকা বন্য প্রাণীগুলো।
বিবিসি'র বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক জলাতন সুলিভান তার এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বন্য প্রাণীদের জন্য এ হুমকির কথা জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মানুষের অর্থ ও সামাজিক লাভের কথা বিবেচনায় আনলেও সীমান্তে দেয়াল তৈরির সময় ভাবা হচ্ছে না বন্য প্রাণীদের কথা। কেননা সীমান্ত অঞ্চলে থাকা বন্য প্রাণীরা মানুষের সীমান্ত নিয়ে ভাবে না, তারা নিজেদের জন্য প্রতিনিয়ত ভাল আবাসনের খোঁজে থাকে। আর বিশ্ব উষ্ণায়ণের এ সময় এই প্রাণীগুলো এমনিতেই তাদের জন্য ভাল আবাস পাচ্ছে না, সেখানে এই কৃত্রিম বাধা (দেয়াল) তাদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মার্কিন এক বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ জানান, এই অঞ্চলে থাকা বড় শিং হরিণগুলো প্রতি মৌসুমে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। মূলত খাবারের জন্য এবং নির্দিষ্ট একটি স্থানে দীর্ঘ সময় থাকলে বারবার শিকারের কবলে পড়ার কারণে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে। সীমান্তের উভয় পাশে তাদের চারণভূমি রয়েছে। কিন্তু যদি সেখানে দেয়াল তুলে দেওয়া হয়, তাহলে নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে তারা আটকা পড়ে যাবে। এর ফলে খাদ্যের অভাবে অথবা চারণভূমি পরিবর্তন না করার কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
বিবিসির এই প্রতিবেদনে উদাহরণ টেনে বলা হয় ১৮৮০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি রেল লাইনের কারণে সেখানে থাকা হরিণগুলো তাদের আবাসস্থলের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে পারেনি। ফলে একটি হরিণের জাত সেখান থেকে হারিয়ে গেছে। কিছুটা উঁচুতে একটি রেললাইনের জন্য এমনটা হয়েছে। সেখানে একটি দেয়াল তৈরি করলে তার ফলাফল আরও বাজে হবে বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা। তার বলেন, চিতা বাঘ, কালো ভাল্লুক ও হরিণসহ এই অঞ্চলে আরও বেশ কিছু বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এই দেয়ালের কারণে চিরদিনের মত তারা হারিয়ে যেতে পারে। সূত্র: বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ