বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে সুইফট কর্তৃপক্ষ। আন্ত:ব্যাংকিং লেনদেনের মেসেজিং নেটওয়ার্ক এবার আগে ভাগেই চুরি ঠেকিয়ে দিতে গ্রাহক ব্যাংকগুলোকে লেনদেনের তথ্য প্রতিদিন পাঠানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যাতে হ্যাকিং বা চুরির চেষ্টার বিষয়টি খুব দ্রুত ধরা পড়ে।
সুইফট ব্যবহার করে গ্রাহকরা প্রতিদিন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ লেনদেন করে থাকে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরির ঘটনাসহ এ সংক্রান্ত অন্যান্য ঘটনায় সুইফটের মতো উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। সুইফটের সাবেক কর্মকর্তারাও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের অভিযোগ প্রয়োজনের তুলনায় সুইফট অনেকে বিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ায় গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে সুইফট জানায়, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে নিয়মিতভাবে গ্রাহকদের প্রতিদিনের রিপোর্ট (ডেইলি ভ্যালিডেশন রিপোর্ট) দেয়া শুরু করা হবে। রিপোর্টে গ্রাহকের টার্মিনাল থেকে পাঠানো মেসেজগুলো তথ্য থাকবে। গ্রাহকরা বুঝতে পারবেন লেনদেনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনাগুলি তাদের এবং কোনটি ভূয়া। প্রতিদিনে এসব রিপোর্টের সাথে একটি রিস্ক রিপোর্টও থাকবে। এতে ব্যতিক্রমভাবে গ্রাহকদের করা নির্দেশনাগুলোর বিষয়ে তথ্য থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির ক্ষেত্রে সুইফটের মেসেস ডিলেট করে হ্যাকাররা পরিচয় লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। চুরির বিষয়ে নিশ্চিত হতেই কর্তৃপক্ষের বেশ কয়েক দিন লেগেছিল। সুইফটের প্রতিবেদনগুলো সাধারণ চ্যানেলের পরিবর্তে ভিন্ন চ্যানেলে গ্রাহক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। ফলে হ্যাকাররা যদি কোনোভাবে সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে তাও রিপোর্টে জানানো হবে। সূত্র : রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা