নাম কালি (কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়ার ইঞ্জেক্টর)। কিন্তু তার ক্ষমতা এতোটাই যে ভারতের বিরুদ্ধে এবার চোখ তুলতে ভয় পাবে পাকিস্তান। শুধু পাকিস্তানই নয়, ভারতে আকাশে ঢোকার আগেই যে কোনও শক্তিশালী মিসাইলকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিতে পারে ওই শক্তিশালী অস্ত্র। শুধু মিসাইল নয়, যে কোনও শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান আটকে দিতেও কালির বিকল্প নেই বলে জানা যাচ্ছে। সামরিক মহলে কানাঘুষো পরমাণু অস্ত্রের চেয়েও কোন অংশে কম ভয়ঙ্কর নয় এই কালি।
সূত্রে খবর, ভারতের ওই অস্ত্রকে যে কোনও দেশের ক্রুজ মিসাইল এবং যুদ্ধ বিমানের তুলনায় শতগুণ বেশি শক্তিশালী বলে মনে করছে বিভিন্ন দেশ। কালি কোন ক্ষেপণাস্ত্র নয, এর মধ্যে কোনও বিস্ফোরকও নেই। এটি হল ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে রিলেটিভিস্টিক ইলেকট্রন বিম (আরইবি) ফায়ার করার ক্ষমতা রাখে এই কালি। অনেকটা লেজার বিমের মতো। ফলে, কালির ব্যাসের মধ্যে থাকা যে কোনও বৈদ্যুতিন জিনিস নিমেষে ধ্বংস করে দিতে পারে। যে কোনও বিমান, মিসাইল বা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্র ধ্বংস করতে লক্ষ্যের ওপর আছড়ে পড়বে কালি। কালির নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যে সেটি কোনও শত্রু বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করতে সক্ষম। এই অস্ত্রটির বৈশিষ্ট্য হল এর মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ কোনোভাবে লক্ষ্যষ্ট হয় না। যে গতি ওই তরঙ্গকে নিক্ষেপ করা হয় তাতে সরাসরি লক্ষ্যের ওপরে আছড়ে পড়ে।
ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা কেন্দ্র (ডিআরডিও) এবং ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (বিএআরসি) একযোগে কালি তৈরির কাজ শুরু করে। তবে কালির কিছু সমস্যাও রয়েছে। এর ওজন বেশ খানিকটা বেশি। ‘কালি ৫০০০’-র ওজন প্রায় ১০ টন এবং ‘কালি ১০০০০’-এর ওজন কমপক্ষে ২৬ টন। শুধু তাই নয়, একবার নিক্ষেপ করার পর দ্বিতীয়বার নিক্ষেপের জন্য চার্জ নিতে বেশ কিছুটা সময় নেয়। ভারী হওয়ায় একে স্থানান্তর করাটাও বেশ সমস্যার। যদিও ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছেন।
তবে পাকিস্তান যে ভারতের কালিকে যে বেশ সমীহ করছে তা স্পষ্ট। তবে পাকিস্তানই নয়, চীনসহ অন্য শক্তিধর দেশগুলিও কালিকে নিয়ে বেশ চিন্তাতেই রয়েছে। ভারতের ওপর হামলা চালানো হলে তারাও কালিকে কাজে লাগাবে তা পরিষ্কার।
সম্প্রতি ভারতের সংসদে 'কালি'র গবেষণার অগ্রগতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর জানান দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোন তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ