গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে প্রায় দেড় শতাধিক কবুতরকে আটক করল ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে তিন ব্যক্তিকেও।
জম্মুর সিনিয়র পুলিশ সুপার সুনীল গুপ্তা জানান, কয়েকদিন আগে কাশ্মীরে প্রবেশের সময় একটি গাড়ি থেকে কয়েকটি বাক্স উদ্ধার করা হয়। সেই বাক্সের মধ্যে ১৫৩টি কবুতর ছিল। সেগুলোকে কাশ্মীরে পাচার করা হচ্ছিল। কবুতরগুলোর পায়ে রিং এবং গোলাপী রঙের মার্কিংও করা ছিল।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের গোড়ার দিকে। গত ৫ অক্টোবর জম্মুর বিক্রম চক থেকে ওই বাক্সবন্দী কবুতরগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে ওইসব কবুতরগুলোকে একটি এনজিও-র (সেভ অ্যানিমেল ভ্যালু এনভায়রনমেন্ট) হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও ঘটনাটি প্রকাশ পায় আজ রবিবার।
কবুতর আটক হওয়ার কয়েকদিন পরেই চমক ভাঙে ওই এনজিও-র। ওই এনজিও-র চেয়ারম্যাম ওইসব পায়রাগুলোর দেহে কিছু সন্দেহজনক জিনিস লক্ষ্য করে জম্মুর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সিমরান দীপ সিংকে চিঠি লেখেন। কবুতরগুলোর পায়ে কিছু সন্দেহজনক রিং লাগানো রয়েছে। ওইসব রিংগুলো সবই ম্যাগনেটিক। এরপরই জম্মুর ডেপুটি কমিশনার এই ঘটনার তদন্তের ভার তুলে দেয় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)’এর হাতে।
পুলিশের সন্দেহ এদের দিয়ে চরের কাজ করানো হতো। এই বিপুল সংখ্যার চর কবুতর ধরা পড়ায় অবাক রাজ্য প্রশাসন। কীভাবে ওই সব কবুতরগুলিকে চরবৃত্তির কাজে লাগানো হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪৪ ধারায় (পশু আইনে) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উরির হামলার পরই পাঞ্জাবের গুরদাসপুরে একটি সাদা কবুতর ধরা পড়ে। তার ডানায় উর্দুতে বেশ কিছু কথা লেখা ছিল। তার মধ্যে ছিল ৪টি দিনের নাম। ওই চার দিনে উরিসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা হয়েছে। এছাড়াও ওই পায়রার ডানায় দশ সংখ্যার একটি নম্বর লেখা ছিল। এনিয়েও তদন্ত চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ অক্টোবর, ২০১৬/মাহবুব