পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুর সংখ্যা যেমন কম নয়, তেমনই কম নয় মন্দিরের সংখ্যাও। অথচ, ধর্মাচরণ নিয়ে হামেশাই বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয় সে দেশের হিন্দুদের। বিড়ম্বনা রয়েছে হিন্দু বিবাহের বৈধতা নিয়েও।
সংখ্যালঘুদের ধর্মাচরণ বিশেষ করে সমস্যার মুখে পড়ে সিন্ধ প্রদেশে। কখনও শোনা যায় মুসলিম ব্যবসায়ীর পবিত্র হিন্দু অক্ষর ‘ওম’ খোদাই করা জুতো বিক্রির কথা। কখনও বা শোনা যায় সিন্ধ প্রদেশে মন্দির থেকে হিন্দু পুরোহিতদের বিতাড়িত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে!
সিন্ধুনদের দু’পারের এমন পারস্পরিক বিদ্বেষমূলক আবহেই পাকিস্তানে হিন্দু মন্দির সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৪০ কোটির প্রকল্প ঘোষণা করল পাকিস্তান সরকার।
তবে, শুধুই হিন্দু মন্দির নয়। সংরক্ষিত হবে গির্জা-গুরুদ্বারও। হায়দরাবাদ ও অন্যান্য অঞ্চলের সংখ্যালঘু ধর্মস্থানগুলিতে হামলার পরই সেগুলিতে নিরাপত্তা বাড়াতে পরামর্শ দেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। এই প্রকল্পে ব্যবহৃত অর্থের অনেকটাই ব্যয় হচ্ছে ধর্মস্থানগুলিতে সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা লাগানোর কাজে।
এই প্রকল্প ধর্মস্থানগুলিতে ভজন-পূজনের নিরাপত্তা সুদৃঢ় করবে বলে জানিয়েছেন সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সহায়ক খাটুমল জীবন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন