ভারতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ধাক্কা সামলে না উঠতেই দেশটির সরকার সোনা আমদানি নিষিদ্ধ করতে চলেছে বলে স্বর্ণ-ব্যবসায়ী মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
ভারতের একটি অনলাইন মিডিয়া জানায়, দিল্লি-মুম্বইয়ের জাভেরি বাজার আর দিল্লির করোলবাগের স্বর্ণ-মহলে বুধবার দিনভর চালাচালি হয় একটা মেসেজ, যার বক্তব্য, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ, অন্তত এই তিন মাস সোনা আমদানি বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। ভরা বিয়ের মৌসুমে সোনার চাহিদা মেটাতে সুপ্রতিষ্ঠিত সোনা ব্যবসায়ীরা কেউ কেউ এখনই সোনা কিনে মজুত করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। তবে, সরকারি রোশানলে পড়ার ভয়ে কেউই আবার দু-তিন কিলোগ্রামের বেশি সোনা আমদানি করছেন না।
ভারতে দামি নোট বাতিল করেই হিসেব-বহির্ভূত অর্থ উদ্ধারের অভিযান শেষ হচ্ছে না, এর পিছু পিছু আসছে আরো কিছু কড়া পদক্ষেপ। মোদির এই ঘোষণার পরই বিভিন্ন বাণিজ্যিক মহল অনুমান করার চেষ্টা চলছে, কী হতে পারে সে পদক্ষেপ? সোনা আমদানিতে ভারত পৃথিবীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বছরে সোনা কেনে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলারের। সোনার চাহিদায় এ বছরেই একটু মন্দা চলছিল, ৮ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারিভাবে ভারতে সোনা আমদানি হয়েছে ৬০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। কিন্তু ৮ নভেম্বর দামি নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে ভারত সোনা আমদানি করেছে আরো ৯০ কোটি ডলারের।
সোনার চাহিদা হঠাৎ বিপুল বাড়ার কারণ, ৮ নভেম্বর রাত থেকেই বাতিল নোটে সোনা কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল ভারতজুড়ে। স্বাভাবিক কারণেই রাজস্ব-কর্মকর্তাদের নজর পড়েছে সেদিকে। তাদের অনুমান, ১৫০ কোটি ডলারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কেনা হয়েছে হিসেব-বহির্ভূত আয়ে, অর্থাৎ কালো টাকায়। সোনার এই ঊর্ধ্বমুখী চাহিদায় দাঁড়ি টানতে কিছুদিনের জন্য সোনা আমদানি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে? এই আশঙ্কা এখন ক্রমশ ছড়াচ্ছে সোনার বাজারে।
বিডি প্রতিদিন/ ১৭ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-৮