শহরের পাশে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ট্রেনটির ১৪টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ জন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০০ জন।
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রেলওয়ের মুখপাত্র বিজয় কুমার জানান, পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেক্স যাত্রীবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার পর চিকিৎসক ও রেলওয়ে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় যাত্রীদের অধিকাংশ ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।
কানপুর পুলিশের আইজি জকি আহমেদ জানান, ‘নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। আইজি আরও জানান, ‘প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সব হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। উদ্ধারকাজের জন্য ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে’।
উত্তর-মধ্য রেলের মুখপাত্র বিজয় কুমার জানান, ‘ঘটনাস্থলে চিকিৎসের প্রতিনিধি দল ও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পৌঁছেছেন। উদ্ধারকার্য সহায়তায় রিলিফ ভ্যান, উদ্ধারকারী দল পাঠানো হযেছে। দুর্ঘটনার কারণ জানা না গেলেও কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব রাজ্য পুলিশের ডিজিপিকে উদ্ধারকাজে তদারকির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ট্যুইট করে তিনি জানান, ‘পাটনা-ইন্ডোর এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর শোক জানাই’। দুর্ঘটনার পরই রাজনাথ কথা বলেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সঙ্গে। একইসঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা (এনডিআরএফ)-ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে কানপুরের ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
ট্যুইট করে কানপুরের ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে যাবতীয় আশ্বাসের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/২০ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল/ আফরোজ-০৪