কিউবার গোয়েন্দা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির খুনের সাথে জড়িত ছিল বলে দাবি করলেন ডগলাস বাজাটার। তিনি তার ‘টার্গেট: জে এফ কে- দ্য স্পাই হু কিলড কেনেডি?’ বইতে লিখেছেন, তার বন্ধু রেনে এ ডুসাকই ছক কষে জন এফ কেনেডিকে খুন করেছিলেন। জানা যায়, কিউবার এক আমলার ছেলে ডুসাকের জন্ম আর্জেন্তিনায়। তবে নিজেকে কিউবার লোক বলেই মনে করতেন ডুসাক। তিনি পড়াশোনা করেছিলেন সুইজারল্যান্ডে। ছোটবেলায় গরমের ছুটি কাটাতে কিউবায় আসতেন ডুসাক। কিউবার উপর আমেরিকার দমন-পীড়ন সহ্য করতে পারতেন না তিনি। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে খুন করেছিলেন!
ডুসাকের চরিত্র ছিল দারুণ বৈচিত্র্যময়। অ্যাথলিট হিসেবে অলম্পিকেও যোগ দিয়েছিলেন ডুসাক। হলিউডের স্টান্টম্যান হিসেবে কাজ করেছিলেন কিছুদিন। গভীর সমুদ্রে ডুব দিয়ে সেখান থেকে জিনিসপত্র তুলে আনতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি দমনের জন্য ফ্রান্সকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। পরে কিউবার বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা নেন। পরে আমেরিকার এফবিআই-এর হয়ে হলিউডের কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে চরবৃত্তি করতেন। একই সঙ্গে সিআইএ এবং কিউবার হয়েও চরবৃত্তি করতেন। যদিও সিআইএ কোন দিন তা স্বীকার করেনি। আবার পুরোপুরি অস্বীকারও করেনি। ১৯৩০ সাল নাগাদ কিউবায় ডুসাকের সঙ্গে দেখা হয় বাজাটার। তবে বাজাটাই প্রথম নন। মার্কিন প্রশাসনের এক গুপ্ত রিপোর্টও কিউবাকেই কেনেডির খুনের জন্য দায়ী করেছিল!
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, কাস্ত্রো হুমকি দিয়েছিলেন যে, কেনেডি প্রশাসন তার প্রাণনাশের চেষ্টা করলে ফল ভাল হবে না। তবে একথা মানেনি কেনেডি। পরিণামে ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর ডালাসে খুন হন কেনেডি। রিপোর্টটি পড়ে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন। কারণ রিপোর্টটি প্রকাশ্যে এলে আমেরিকা রাশিয়া সমর্থিত কিউবার উপর হামলা করতে বাধ্য হত। আর এতেই হয়তো হয়ে যেত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার