কিডনিজনিত সমস্যা নিয়ে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। প্রতিদিনই ডায়ালিসিস করতে হচ্ছে তার। তবে সুষমার শরীরে অবিলম্বে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে এক অদ্ভুতুড়ে কাহিনীর জন্ম দিয়েছেন বারাণসীর এক গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ মুরাত সিংহ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কিডনি প্রয়োজন জানার পর থেকেই তা দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন তিনি। কিন্তু এর বিনিময়ে একটি শর্ত রেখেছেন সন্তোষ। আর সেই শর্ত হল তাকে 'জীবিত' করতে হবে।
সন্তোষের এমন দাবি শোনার পর থেকে মাথার চুল খাড়া হয়ে গেছে সুষমার পরিবার-পরিজনের। কেন এমন দাবি রাখলেন সন্তোষ? আসলে ২০০৩ সালে সন্তোষ বারাণসী ছেড়ে মুম্বইয়ে এসে অভিনেতা নানা পাটকরের বাড়িতে কাজ নেন। সে সময় সন্তোষ মুম্বাইয়ে এক দলিত যুবতীর প্রেমে পড়েন এবং তাকেই বিয়ে করেন। গোত্র এবং বর্ণে সন্তোষ উত্তরপ্রদেশের উচ্চ বংশজাত। ফলে তার পরিবারের লোক এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। এর জন্য সন্তোষকে তার পরিবার মৃত বলে ঘোষণা করে। এখানেই শেষ নয়, পারিবারিক সমস্ত দস্তাবেজেও সন্তোষকে মৃত বলে ঘোষণা করে ডিক্লারেশন দেওয়া হয়। সেই থেকে জীবিত হয়েও এক মৃত মানুষের জীবন কাটাচ্ছেন সন্তোষ। এই নিয়ে তার দুঃখের শেষ নেই। তিনি শুনেছেন, সুষমা স্বরাজ খুবই দয়ালু মানুষ। তাই সন্তোষ মনে করছেন সুষমার সঙ্কটে তার পাশে তিনি যদি দাঁড়ান তাহলে হয়তো তাকে আর মৃত মানুষের জীবন কাটাতে হবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য তিনি ফের 'জীবিত' হয়ে উঠতে পারবেন।
বলতে গেলে সন্তোষ আপাতত অপেক্ষা করছেন সুষমার সঞ্জীবনি উদ্যোগের জন্য। যা তাকে মৃত থেকে ফের জীবিতদের জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-২১