বহুল কথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ইরাকের মসুল শহরে প্রথমবারের মত আইএস রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি)। খবর সিএনএনের।
আইসিআরসি-এর একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, মসুলে রাসায়নিক হামলার ফলে শিশুসহ স্থানীয় ১২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে কারা এ রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইরবিলে কর্মরত ওই চিকিৎসক আরও জানান, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ফলে আক্রান্তদের শরীরের ত্বকে ফোসকা পড়া, চোখ লাল হয়ে হয়ে যাওয়া, বমি করা, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ সব ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। সে অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা চলছে।
রেডক্রসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক পরিচালক রবার্ট মারদিনি জানান, গত ৪৮ ঘন্টার লড়াইয়ে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রভাবে ৫ শিশু এবং ২ নারীসহ ১২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ৫ শিশুর মধ্যে একজন ১ মাসের শিশুও রয়েছে। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও ত্বকে জ্বালাপোড়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১ বছর বয়সী এক ছেলে।
এদিকে পূর্ব মসুলে বাড়িঘরের ওপর চালানো মর্টার হামলার পরে ঝাঁঝালো রাসায়নিকের গন্ধ পাওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয়রা। এসব হামলার জন্য কারা দায়ী তা এখনো জানা যায়নি। হামলায় কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে তাও নিশ্চিত করতে পারেনি রেডক্রস।
তবে মর্টার হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গিরা মসুলে রাসায়নিক হামলা চালাতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল দেশটি। এমনকি জঙ্গি বিরোধি অভিযান চলাকালে মসুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারকে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কারাখানা হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণও মিলেছে।
সম্প্রতি মসুল পুনরুদ্ধার অভিযান জোরদার করেছে ইরাকের সেনাবাহিনী। মার্কিন বাহিনী এ অভিযানে সহায়তা করছে। জোরালো অভিযানের মুখে কার্যত বিভক্ত হয়ে গেছে শহরটি। এক অংশ সরকারি বাহিনীর এবং অপর এক অংশ আইএসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মাঝেই অভিযানে প্রথমবারের মত নিষিদ্ধ ঘোষিত রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠল।
বিডি-প্রতিদিন/ ৪ মার্চ, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২৪