বহুল কথিত মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যদের হত্যা করতে গিয়ে ইরাকের মসুলে বিমান হানায় প্রচুর নিরীহ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
পেন্টাগন জানিয়েছে, মসুল দীর্ঘ দিন ধরেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শক্ত ঘাঁটি। তাই ইরাকি সেনাবাহিনীর অনুরোধে মসুলকে আইএসের দখলমুক্ত করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মিত্রজোট যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, তাতে ২০০-রও বেশি নিরীহ মানুষের নিহত হয়ে থাকতে পারে।
বিশ্লেষকদের দাবি, ২০১৪ সালে আইএস দমন করতে ইরাকে প্রবেশের পর মার্কিন বিমান হামলায় এত বেশি সংখ্যক নিরীহ মানুষ মারা যায়নি।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দাবির চেয়েও বেশি সংখ্যক নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন।এর চিত্রটা আরও ভয়াবহ।
তারা আরও জানান, মসুলের পাশেই আঘাওয়াত জাদিদা নামে একটা স্থান রয়েছে। যেখানে আইএসের উপস্থিতি অনেক নেই বললেই চলে ।কিন্তু মার্কিন বিমান হানায় ওই এলাকার বাগদাদ স্ট্রিটও রেহাই পায়নি। বাগদাদ স্ট্রিটের ওপর গত ১৭ মার্চ যে বিমান হানাদারি হয়েছিল, শুধু তাতেই কয়েকশো’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহত হয়েছেন অনেক নারী ও শিশু। শুধু একটি অ্যাপার্টমেন্টের ভগ্নস্তূপ থেকেই ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।বাগদাদ স্ট্রিট অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। তাই ওই বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
সূত্র: লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস