কোন ধরণের জোর-জবরদস্তি ছাড়াই ভারত ও চীনকে মুখোমুখি বসে কথা বলতে বলল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র গ্যারি রোজ বলেন, ‘অশান্তি কমাতে ভারত ও চীন এই দুই দেশকেই আমরা মুখোমুখি কথা বলার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি।’
গত এক সপ্তাহ ধরে মার্কিন বিদেশ দফতর থেকেও একই ধরনের বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পেন্টাগন ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার পাশাপাশি কোনও ‘জবরদস্তিমূলক বিষয়’ না রাখার কথাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে। পেন্টাগনের এই বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য বিগত কয়েক বছরে চীনের প্রায় সমস্ত প্রতিবেশী দেশই সীমান্ত সমস্যার সমাধানে চিনের বিরুদ্ধে জোর খাটানোর অভিযোগ করেছে। সিকিম সেক্টরে গত এক মাস ধরে চলা অচলাবস্থা চীনের সেই জোর খাটানোর কৌশলেরই অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে। ওই এলাকার স্থিতাবস্থা বদল করাই চীনের ওই কৌশলের লক্ষ্য। যদিও ভারত চীনের এ ধরনের কৌশলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ব্রিকসের বৈঠকে যোগ দিতে চলতি মাসেই বেইজিং যাবেন। ওই সফরে চীনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি ডোকা লা সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২