ডোকা লা নিয়ে সিকিম সীমান্তে ইন্দো–চীন উত্তেজনা জারি। তারমধ্যেই জাতিসংঘে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাব আটকে দিয়েছে বেইজিং। তাতে চটেছেন ভারতের যোগগুরু রামদেব। এরই জেরে সকল ভারতবাসীকে চীনা পণ্য বর্জনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের প্রকাশ্যে সমর্থন করছে বেইজিং। পাকিস্তানকে তো অবশ্যই উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত। প্রথমে অধিকৃত কাশ্মীরেকে ভারতের সঙ্গে জুড়ে নিতে হবে। সেই সঙ্গে সমস্ত চীনা পণ্য বর্জন করতে হবে। সে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, গাড়ি, খেলনা যাই হোক না কেন।’
তবে রামদেব একা চীনা পণ্য বর্জনের পক্ষে নন, সীমান্তে অস্থিরতার জেরে ভারতের ব্যবসায়ী মহলেও একই রব উঠেছে। ‘ফেডারেশন অফ অল ওড়িশা ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েসন’–এই ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সাধারণ মানুষকে চীনা পণ্য বর্জন করতে আবেদন জানায় তারা। বলা হয়, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে মদত দিচ্ছে বেইজিং। অথচ সেই ভারতের বাজারেই পণ্য বিক্রি করে মুনাফা লুটছে তারা।
উল্লেখ্য ডোকা লা নিয়ে ভারত-চীন-ভুটান ত্রিদেশীয় সীমান্তে প্রায় দু’মাস ধরে টানাপোড়েন চলছে। ডোকা লা সীমান্তে মোটর চলাচলের উপযোগী রাস্তা নির্মাণ করতে উদ্যোগী হয়েছিল চীনা বাহিনী। তাদের বাধা দেয় ভারতীয় সেনা। সিকিম সীমান্ত এলাকা বরাবর নিজেদের বলে দাবি করেছে ভারত। কিন্তু ১৮৯০ সালে ভারতে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তির দোহাই দিয়ে সেখানে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপনে উঠে পড়ে লেগেছে বেইজিং।
বিডি-প্রতিদিন/ ৮ জুলাই, ২০১৭/ তাফসীর