অবশেষে ইরানের সঙ্গে হওয়া পরমাণু চুক্তি বাতিল করে তাদের উপর নতুন করে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৫ সালে করা আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি মোতাবেক যে ইরান চলছে না, তাতে সিলমোহর দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের মতে, সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে মধ্য এশিয়ায় শান্তি লঙ্ঘন করছে ইরান। সেই সঙ্গেই মার্কিন কংগ্রেসকে কাল ৬০ দিনের সময় দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এর মধ্যে কংগ্রেসকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তেহরানের উপর ফের কড়া আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আদৌ জারি করা হবে কি না।
আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক ক্ষুব্ধ জার্মানি। তেহরান তো বটেই, বার্লিনের তরফেও ট্রাম্পের কালকের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, ওই চুক্তি বাতিল হলে ইরান ফের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে, যা ইউরোপের শান্তি নষ্ট করার পক্ষে যথেষ্ট।
এক রেডিও চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জার্মান বিদেশমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, ‘‘ইরান-আমেরিকার মধ্যে যা হচ্ছে, সেটা তো শুধু দু’দেশের বিষয় নয়। গোটা বিশ্বের অনেকগুলি দেশই এর ফল ভুগবে। এই চুক্তি বাতিল করে দিলে ইরান যদি ফের পরমাণু অস্ত্র বানানোর রাস্তায় ফেরে তা হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা ভয়ানক উদ্বেগের।’’
জার্মানির মতো একই ভাবে ট্রাম্পের সমালোচনা করেছে তেহরান। ইরানের শত্রুপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গে আমেরিকার মাখামাখি নিয়ে ট্রাম্পকে এক হাত নিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভাদ জারিফ। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে গোটা ইউরোপের প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমেরিকা কতটা বিচ্ছিন্ন। সৌদি আরব আর ইসরায়েল ছাড়া ওদের পাশে তো আর কেউ নেই।’’
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর