গদর বন্দরে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের ব্যবহারে সম্মতি দিতে বাধ্য হল ইসলামাবাদ। চীন পাকিস্তান ইকনমিক করিডর (সিপিইসি) তৈরি হচ্ছে বেজিংয়ের অর্থে। তাই পাকিস্তানের কোন কিছু চীন শুনতে চাইছে না। চীন যা চাইবে তাই মানতে হবে পাকিস্তানকে।
এমনিতে সিপিইসি প্রকল্পে কোনও পাকিস্তানি কর্মীকে কাজে লাগানো হয়নি। তাই নিয়ে ইসলামাবাদে ব্যাপক অসন্তোষ। বিনিয়োগ যদি কর্মসংস্থানই না আনতে পারবে তাহলে বেজিং'র সঙ্গে চুক্তি করে লাভ কী হলো এমন প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তানিরা।
এমন অবস্থায় পাকিস্তান সিপিইসি নিয়ে দু’টো বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। প্রথমত অধিকৃত কাশ্মীরে সিপিইসির অর্থে দামের-ভাসা জলাধার নির্মাণ করায় আপত্তি জানায় তারা। ইসলামাবাদের বক্তব্য, এই বাঁধ তাদের স্বার্থ পূর্ণ করবে না। দ্বিতীয়ত, গদর বন্দরে ইউয়ান চালু নিয়ে বেকে বসে তারা। এরপরেই ২০ নভেম্বর চীন জানিয়ে দেয় সিপিইসির অধীনে তিনটি রাস্তা তৈরির প্রকল্পে তারা অর্থ দেবে না।
চীণা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সারা পৃথিবীকে সড়ক পথে চীনের সঙ্গে জুড়তে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তারই অঙ্গ এই সিপিইসি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন আসলে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে চাইছে। শ্রীলঙ্কা পরিকাঠামোর উন্নয়নে বিপুল ঋণ দিয়েছিল চীন। সেই ঋণ মেটাতে না পারায় হাম্বানতোতা বন্দরকে চীনের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়েছে কলম্বো। পাকিস্তানেও এমনই ভয় শুরু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর