বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দৈহিক সম্পর্কে জাড়িয়ে ঠকিয়েছে প্রেমিক। এদিকে গর্ভে নয় মাসের সন্তান। অগত্যা, স্বেচ্ছামৃত্যু বরণের আর্জি জানিয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে এক নাবালিকা। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানা এলাকায়।
সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভি সলোমন নেসকুমার বলেন, প্রশাসনে থেকে আমরা তো কাউকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিতে পারিনা। ঘটনাটি আমার অজনা ছিল। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত প্রেমিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি সুতাহাটা থানা এলাকার খানপুরের। প্রতিবেশী যুবক সিন্টু মণ্ডলের প্রেমে পড়েছিল ১৭ বছরের নাবালিকা। বছর দেড়েকের সম্পর্ক। অভিযোগ, ৯ মাস আগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে সিন্টু।
নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জানাজানি হয় ঘটনা। পাড়া-প্রতিবেশীদের ডেকে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে উভয়পক্ষের সম্মতিতে গত ১৬ নভেম্বর সিন্টুর সাথে ওই নাবালিকার বিয়ের কথা স্থির হয়।
অভিযোগ, এরপর থেকেই সপরিবারে উধাও হয়ে যায় সিন্টু। পরিবারের অন্যরা ফিরলেও লুকিয়ে বেড়াচ্ছে সিন্টু। এমনকি নাবালিকা ও তার পরিবারকে নিয়মিত ফোন করে খুনের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। স্বভাবতই, চরম আতঙ্কে নাবালিকার পরিবারের।
পরিবারের দাবি, বাধ্য হয়েই মেয়ে প্রশাসনের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছে। মেয়ের মতো এই লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে সপরিবারে মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন কিশোরীর মা।
অভিযোগ, গত ১৯ ডিসেম্বর হলদিয়ার মহকুমা শাসক, মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তার কাছে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছিলেন সুতাহাটা থানার খানপুরের ১৭ বছরের ওই নাবালিকা। কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় নাবালিকা কিশোরী স্বেচ্ছা মৃত্যুবরণ করতে চায়। হলদিয়ার মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু শেখর নস্কর বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৩ জানুয়ারি ২০১৮/আরাফাত