কলকাতায় এক স্থানীয় নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে কলকাতা পুলিশ।
এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার রাতে কলকাতা সেন্ট্রাল মেট্রো রেল স্টেশনের কাছে একটি জায়গা থেকে তাকে আটক করে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইমের গোয়েন্দারা।
শনিবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিশাল গর্গ জানান ‘বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির আসল নাম নব কুমার দেবনাথ। যদিও কয়েক মাস আগে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার মছলন্দপুর রেলস্টেশনে ওই নারীর সামনে নিজেকে অভিজিৎ দেবনাথ বলে পরিচয় দেয় এবং সেই থেকেই তাদের দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে’।
তবে বাংলাদেশে ওই ব্যক্তির বিয়ে ও পরিবারের কথা জানাজানি হওয়ার পর দুই জনের সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান ‘বিয়ের কথা জানার পর ওই নারী যখন বাংলাদেশি ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলতে থাকে সেসময়ই ওই ব্যক্তি তাদের পূর্বের কিছু ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেয়। অভিজিৎ দেবনাথের নামে ওই অ্যাকাউন্টে ওই নারীর কিছু নগ্ন ছবিও আপলোড করে দেন বাংলাদেশি নাগরিক। শুধু তাই নয় হোয়াটসঅ্যাপ’এর মাধ্যমে সেই সমস্ত আপত্তিকর ছবি গুলিকে ওই নারীর আত্মীয় ও বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়’।
এরপরই ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামে সাইবার ক্রাইমের গোয়েন্দারা। তদন্তে নেমে জানতে পারে কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসে নব কুমার দেবনাথ নামে ওই ব্যক্তি। এরপরই ওঁত পেতে গতকাল রাতে তাকে আটক করে গোয়েন্দারা। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, দুইটি মোবাইল সিম, একটি মাইক্রো চিপ। শনিবারই তাকে শহরের একটি আদালতে তোলা হলে আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
অন্যদিকে বাইক চুরির অভিযোগে গতকাল রাতে আরও এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে কলকাতা পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে নিউ মার্কেট থানার অধীন মির্জা গালিব স্ট্রীট এলাকা থেকে সমিরুল মন্ডল (২৮) নামে ওই বাংলাদেশিকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। সমিরুলের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বসদা গ্রামে।
এদিন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিশাল গর্গ বলেন ‘সমিরুলকে আটকের সময় সে ভারতে থাকার কোন বৈধ নথি দেখাতে পারেন নি।
এর আগে ২০১৩ সালে সমিরুলকে একবার আটক করা হয়েছিল এবং সেসময় চার বছরের সাজা হয়। এরপর পশ্চিমবঙ্গে কারাগারের মেয়াদ শেষে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।’
আটকের সময় ওই বাংলাদেশি নাগরিকের কাছ থেকে ১১০ বাংলাদেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
শনিবার দুপুরে কলকাতার আদালতে তোলা হলে আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই বাংলাদেশি নাগরিককে জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিডিপ্রতিদিন/ ১৪ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান