ঘুমন্ত অবস্থায় 'নিজের অজান্তে' এক তরুণীকে কয়েকশোবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল নিজেকে 'সেক্সোম্যানিয়াক' হিসাবে পরিচয় দেওয়া এক স্কটিশ তরুণের বিরুদ্ধে। গ্লাসগো হাইকোর্টে বিচার চলছে বছর পঁয়ত্রিশের লরেন্স বারিলির।
লরেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় এক তরুণীকে সে কয়েকশোবার ধর্ষণ করেছে। কিন্তু, এই গোটা কাণ্ডটাই নাকি সে করেছে 'ঘুমের ঘোরে' এবং 'নিজের অজান্তে'! ঘটনা এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্ত লরেন্সের দাবি, এতবার যৌন মিলন হলেও তার সেসব কথা মোটেই মনে নেই।
অভিযোগকারী তরুণী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছেন, আমাদের আলাপের পর প্রথম একদিন রাতে সে (লরেন্স) যৌনতায় মাতে। পরের দিন সকালে আমি যখন সেই ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে যাই তখন সে বলে, তুমি এসব কী বলছ? আমি তো কিছু মনে করতে পারছি না। এরপর থেকে প্রায় প্রতি রাতেই একই ঘটনা ঘটতে থাকে।
অভিযোগকারী তরুণী প্রথমটায় মনে করেন, তার সঙ্গী হয়ত সম্পর্কে 'উত্তেজনা' আনতে এমনটা করছেন। কিন্তু কিছুদিন পর ওই তরুণী বুঝতে পারেন, লরেন্সকে রোখা তার পক্ষে অসম্ভব এবং বিষয়টি মোটেই তিনি উপভোগ করছেন না। সহ্যের সীমা অতিক্রম করতেই আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি।
তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আদালতে লরেন্স বলেন, ডাক্তার বলেছে আমি 'সেক্সোম্যানিয়াক'। যদিও তরুণীটির দাবি, তিনি এমন কাউকে কখনও দেখেননি, তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই বিষয়ে কিছুটা জেনেছেন।
এদিকে, তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লরেন্স। সূত্র: জি নিউজ।
বিডি প্রতিদিন/১৪ জানুয়ারি ২০১৮/আরাফাত