তিনি শুধু নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের লড়াই লড়ছেন। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তার। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় লন্ডনের রুইস্লিপে ভারতীয় প্রবাসী কংগ্রেসের মেগা সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটাই বললেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এদিন তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকেই এই পরিবর্তন এসেছে তার মধ্যে। আপাতত দেশের সাংগঠনিক উন্নতিই তার লক্ষ্য। ২০১৯ সালে কে নেতৃত্ব দেবেন, এই প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, বিজেপি এবং আরএসএসকে হারানোর পর এবং লোকসভা ভোটে জেতার পরই বিরোধী দলগুলির সঙ্গে নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।
রাহুলের অভিযোগ, আরএসএস ভারতের সাংগঠনিক পরিকাঠামো ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তা যাতে না হয় সেজন্য বিরোধী দলগুলির নেতানেত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। বিজেপি ভারতকে বিভাজিত করার যত চেষ্টাই করুক, কংগ্রেস কখনও হিংসার রাজনীতি করেনি। বিজেপির এই চেষ্টা ব্যর্থ করবে কংগ্রেস।
আরএসএস এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাহুল আরও বলেন, মোদির রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করতে বড় ভূমিকা নিয়ে ছিল আরএসএস। উন্নাও গণধর্ষণকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর নিশ্চুপ অবস্থান, নীরব মোদি, মেহুল চোকসি এবং বিজয় মালিয়ার মতো দুর্নীতিগ্রস্তদের এখনও দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যর্থতার জন্য মোদিকে দায়ী করেছেন রাহুল।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর