আমেরিকার হয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধের নায়ক, সিনেটর এবং ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী জন ম্যাককেইনের ব্রেন টিউমার ধরা পড়েছিল গত বছর জুলাইয়ে। তারপর থেকেই চিকিৎসা চলছিল তার। গত ডিসেম্বরেই ওয়াশিংটন ছেড়ে অ্যারিজোনার কর্নভিলের খামারবাড়িতে চলে গিয়েছিলেন জন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল।
গত শুক্রবার তার পরিবারের তরফে বলা হয়, জন সবরকম চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪.২৮ মিনিটে মারা যান তিনি। জনের দপ্তর থেকে বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়ে বলা হয়, নিজের জীবনের ৬০ বছর বিশ্বস্তভাবে নিজ দেশের জন্য কাজ করে গিয়েছেন জন। শেষ সময়ে তার পাশে ছিলেন তার স্ত্রী সিন্ডি, মেয়ে মেঘানসহ পুরো পরিবার।
স্বামীর মৃত্যুর কথা টুইট করে সিন্ডি বলেছেন, ৩৮ বছরের জীবনসঙ্গীকে হারিয়ে তিনি শোকাহত হলেও যেমন জীবন চেয়েছিলেন, সেরকমভাবেই বেঁচেছিলেন তার স্বামী জন ম্যাককেইন।
প্রিয় নেতার মৃত্যুর খবর পেয়েই তার খামারবাড়ির সামনে আমেরিকার জাতীয় পতাকা হাতে ভিড় করেন জনের অনুরাগীরা।
শনিবার রাতেই জনের মরদেহ কর্নভিলে থেকে অ্যারিজোনার ফিনিক্সে আনা হয়। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেখানে রাখা থাকবে দেহ। শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথিড্রালে এবং জনকে সমাধিস্থ করা হবে মেরিল্যান্ডের অ্যানাপোলিসে। জনের শেষকৃত্যে সাবেক দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশ এবং বারাক ওবামাকে তার পরিবার আমন্ত্রণ জানালেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কোন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
তবে সব রকম রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত সংঘাত দূরে সরিয়ে নিজের অন্যতম কট্টর সমালোচকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শনিবার রাতেই শোকজ্ঞাপন করেছেন ট্রাম্প।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর