জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে অন্তত ৭ লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে নিপীড়নের শিকার হয়ে অন্তত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। পরে গত মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। কিন্তু এমন সময় নতুন করে আরও সোয়া লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালানো চেষ্টায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারের ক্যাম্প থেকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হলে তারা দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য নৌকা ভাড়া করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
ছয় বছর আগে রাখাইনের পশ্চিমাঞ্চলে স্থানীয় বৌদ্ধরা ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিলে এক লাখ ২৮ হাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান নেয়। সেখানে চলতে থাকে তাদের জীবন যুদ্ধ।
সম্প্রতি দেশটির সরকার ক্যাম্প বন্ধ ঘোষণা করে এলাকার উন্নয়ন কাজে হাত দিয়েছে। ফলে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ক্যাম্পের বসবাসকারীদের জন্যই তা উন্নয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অং সান সু চি।
তবে রোহিঙ্গারা নিজেদের বাড়িতে ফেরত যেতে রাজি নয়। তাদের দাবি, ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় তাদের জন্য বসতি করা হোক। কারণ হিসেবে তারা বলেন, যেহেতু আমরা স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারি না, তাই আমরা কখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবো না।
মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মায়াত আয়ে বলেন, জাতীয় পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুত ব্যক্তি বা আইডিপি হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করছে। তাদের বাস্তুচ্যুতদের রাখাইনে স্বাধীনভাবে চলাফেরায় কোন আইনি বাধা নেই। তারা ‘জাতীয় যাচাইকরণ কার্ড (আইডি কার্ড)’ গ্রহণ করেছে। এর ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তারা সমান সুবিধা পাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম