প্রকাশ্য রাস্তায় রাজনৈতিক নেতাকে ধোলাই দেওয়া হচ্ছে। একটু আধটু নয়, যাকে বলে একেবারে গণধোলাই। আশপাশে অনেকে থাকলেও তাকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসছেন না। বরং রাস্তার দু'ধারে দাঁড়িয়ে তারা সেটা উপভোগ করছেন। এই মারের নেপথ্যে রয়েছেন আবার সেই রাজনৈতিক নেতার স্ত্রী ও তার শাশুড়ি। এমনই দৃশ্য দেখা গেল ভারতের মহারাষ্ট্রের রাস্তায়। আর যাকে এভাবে পিটুনি দেওয়া হচ্ছে তিনি হলেন ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের নেতা। এবং নির্বাচিত বিধায়কও। কিন্তু এমন কি হল যে প্রকাশ্য রাস্তায় এভাবে মার খেতে হল তাকে?
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, মহারাষ্ট্রের হাইভোল্টেজ ওই বিধায়কের নাম রাজু নারায়ন তোসাম। একটি বিয়ে থাকা সত্ত্বেও কাউকে কিছু না জানিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন তিনি। যা নিয়ে তার উপর রীতিমতো রেগে ছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী অর্চনা তোসাম। সেই রাগ প্রকাশের সুযোগ খুঁজছিলেন অর্চনা। সম্প্রতি সেই সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এদিন এক খেলার অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন ওই বিধায়ক, পাশাপাশি এদিন ছিল তার ৪২ জন্মদিনও। এদিনের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির একাধিক ছোট বড় নেতা ও বিধায়কের দ্বিতীয় স্ত্রী প্রিয়া সিন্ধে। অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে অতর্কিতে ওই বিধায়কের উপর হামলা চালান রাজুর প্রথম স্ত্রী ও তার শ্বাশুড়ি। মাঝ রাস্তায় ফেলে ওই বিধায়কের উপর চলতে থাকে কিল চড় লাথি। অতর্কিতে এই হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ওই বিধায়ক। অবশ্য তাঁর রক্ষাকর্তা হিসেবে মাঠে নামেন রাজুর দ্বিতীয় স্ত্রী প্রিয়া। প্রতিপক্ষকে পাল্টা মারতে গিয়ে বেদম মার খান তিনিও। রাস্তায় জনতাও ওই বিধায়কের প্রথম স্ত্রীর পক্ষে অবস্থান নেন। যদিও বিধায়কের সমর্থকরা ঘটনাস্থল থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার জেরে বিজেপির পক্ষ থেকে কিশোর তিওয়ারি বলেন, ‘আমরা রাজুর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর অর্চনার পাশেই আছি। উনি একজন স্কুলের শিক্ষিকা। তাছাড়া রাজু–অর্চনার দুই সন্তান রয়েছে। তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজু যদি এই সমস্যার ইতি না টানেন, তাহলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবো। ’
এদিকে, আগামী শনিবার মহারাষ্ট্র সফরে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি। সেই মঞ্চে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজুর। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতির জেরে ওই মঞ্চ থেকে নাম কাটা গেছে তার।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব