শরিয়া আইন কার্যকর থাকলেও বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে সমকামিতার জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি থেকে সরে এসেছেন ব্রুনাই সুলতান হাসানাল বোলকিয়া।
গত রবিবার ব্রুনাই'র সুলতান নতুন আইনে থাকা সমকামিতার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধানের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট এই দেশটি গত ৩ এপ্রিল থেকে শরিয়া আইন চালুর ঘোষণা দেন। সেই আইন অনুযায়ী দেশটির মধ্যে সমলিঙ্গের মধ্যে যৌন সম্পর্ক, ধর্ষণ, মোহাম্মদ (সা.) কে অবমাননার মতো অপরাধের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। এছাড়া নতুন শরিয়া আইনে চুরির শাস্তি হিসেবে অঙ্গচ্ছেদের বিধান রয়েছে।
কিন্তু এক মাসের মাথায় দেশটির সুলতান শরিয়া আইন কার্যকর থাকলে সমকামিতার জন্য পাথর ছুড়ে মৃত্যুর শাস্তি সংবলিত আইন থেকে সরে এসেছে।
খবরে বলা হয়েছে, সমকামিতার জন্য পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুর শাস্তির আইন জারির পর বিশ্বজুড়ে তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আইনটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ও বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের প্রতিবাদ ও দেশটিকে বয়কটের ঘোষণার পর দেশটি নতুন করে এমন সিদ্ধান্ত নিল।
যদিও দেশটিতে সমকামিতা আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল তবে এর শাস্তি ছিল ১০ বছরের কারাদণ্ড।
এক বক্তৃতায় সুলতান বলেন, যে শরিয়া পেনাল কোড অর্ডার বা এসপিসিওর বিষয়ে ওঠা প্রশ্ন নিয়ে তিনি সচেতন আছেন।
এখন এসপিসিওর ওপর স্থগিতাদেশ দেয়ার সময়েও তিনি নতুন আইনের পক্ষে কথা বলেছেন। দেশটিতে এবারই প্রথম শাসক কেউ প্রকাশ্যে নিজের করা আইনের বিষয়ে কথা বললেন।
ব্রুনাইয়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ অধিবাসীর মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা দুই তৃতীয়াংশ।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম