চীন-তাইওয়ানের মধ্যে ঘোরতর যুদ্ধ কার্যত এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র- এমটাই মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা! এরই মধ্যে তাইওয়ানের কাছে আব্রাহামস ট্যাঙ্ক ও স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রায় ২২০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এদিকে, অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে চীনা কর্তৃপক্ষ 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, তাইওয়ানের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নয়নে এই অস্ত্র বিক্রির চুক্তিটির অংশ হিসেবে ১০৮টি আব্রামস ট্যাংক, ২৫০টি স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রি করা হতে পারে তাইওয়ানের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) জানায়, প্রস্তাবিত ট্যাঙ্ক বিক্রি গ্রহীতাদের প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্কবহরের আধুনিকায়নে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের আঞ্চলিক হুমকি মোকাবিলায় তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি অবদান রাখবে। এছাড়া এতে তাদের স্বদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।
মার্কিন সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের ফলে চীন-মার্কিন সামরিক সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালী অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীন। এরই মধ্যে ট্রাম্পকে এক প্রকার হুমকিই দিয়ে রাখলেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেং। ওয়াশিংটনকে সোজা নির্দেশ, তাইওয়ানের দিকে হাত বাড়িও না। তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন সরকারের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও ওয়াশিংটন তাইপের কাছে প্রায়ই বিপুল সমরাস্ত্র বিক্রি করে থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকার তাইওয়ানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারে বলেও উল্লেখ করছে। এ বিষয়টিকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য-বিরোধসহ নানা বিষয়ে দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায় বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চীনা সেনাবাহিনী (পিএলএ) তাইওয়ানকে সব রকমের চাপ প্রয়োগ করে চীনের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার